২০৩০ সালে আইটি খাতে লাগবে ২০ লাখ লোক

আইপিএম সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: প্রথম আলো
আইপিএম সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: প্রথম আলো

যেকোনো প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে যাওয়া নির্ভর করে দক্ষ কর্মীর ওপর। এখন প্রতিটি প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তিনির্ভর হচ্ছে। আর এ কারণে ২০৩০ সালে আইটি সেক্টরে ২০ লাখ দক্ষ জনবল প্রয়োজন হবে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীতে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপকদের সংগঠন ইনস্টিটিউট অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট (আইপিএম) আয়োজিত এইচআর সামিটে বক্তারা এসব কথা বলেন। সকাল ৯টায় শুরু হয় আইপিএম আয়োজিত এইচআর সামিট।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, দক্ষ মানবশক্তি ছাড়া এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তিনির্ভর হচ্ছে, এ কারণে ২০৩০ সালে আইটি সেক্টরে ২০ লাখ দক্ষ জনবল প্রয়োজন হবে। এ কারণে সরকার তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ করে তুলতে প্রশিক্ষণে নানা ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সেসব প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে দক্ষতা অর্জন করে অনেকেই দেশ–বিদেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও চান দক্ষ জনশক্তি।

আইপিএমের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট আনোয়ারুল আজিম। তিনি বলেন, ১৯৮০ সালে যখন আইপিএম গঠিত হয়, তখন এ দেশে প্রশাসন বা কর্মী ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত পেশাজীবীদের কোনো প্ল্যাটফর্ম ছিল না। আইপিএম এইচআর প্রফেশনালদের নিয়ে কাজ শুরু করে। আইপিএম যুক্তরাজ্যের চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব পার্সোনেল ডেভেলপমেন্টের একটি এফিলিয়েটেড প্রতিষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইপিএমের মহাসচিব শাকিল মেরাজ। তিনি বলেন, দেশে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় আইপিএম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। আর উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে প্রয়োজন দক্ষ মানবসম্পদ। একটি প্রতিষ্ঠান সফলভাবে পরিচালিত হবে তখনই, যখন পরিচালনার ভার থাকবে দক্ষ কর্মীর হাতে। প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের দক্ষতা, প্রেষণা, ব্যবস্থাপনার জন্য মানবসম্পদ বিভাগ জরুরি, যার মাধ্যমে কর্মীদের সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এফবিএইচআরওর প্রেসিডেন্ট মোশাররফ হোসেন, আইপিএমের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও সাবেক প্রেসিডেন্ট এ বি এম ওসমান গণি প্রমুখ।

দিনব্যাপী এই সামিটে একাধিক সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সামিটের সমাপনী অধিবেশন শুরু হয় বিকেল ৪টায়। সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন, ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জামাল মোহাম্মদ আবু নাসের, লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অরূপ দাশ গুপ্ত, বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন ফর লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রেসিডেন্ট কাজী এম আহমেদ।