সৈয়দপুরে ঠিকাদার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫

আবদুল জলিল
আবদুল জলিল

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের দৃষ্টিনন্দন ছাত্রাবাসে ঠিকাদার আবদুল জলিলকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সিআইডির সদস্যরা তাঁদের নীলফামারী জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড় থেকে গ্রেপ্তার করেন।

গ্রেপ্তার তরুণেরা হলেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার উত্তর সুজালপুরের সেন্টারপাড়ার আল রিয়াদ চৌধুরী (২৫), একই এলাকার অমৃত সরকার (২৬), পার্বতীপুর উপজেলার সরদার পাড়ার মিনহাজুল ইসলাম (২৫), নীলফামারী সদরের গোবিন্দপুর গ্রামের আরমান হোসেন (২৫) ও রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার আলমপুর পাইকপাড়ার সাখাওয়াত হোসেন (২৩)। ২০১১ সালে ঘটনার সময় তাঁরা সৈয়দপুর ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে ১৭ এপ্রিল সকালে গাইবান্ধা শহরের মমিনপাড়ার ঠিকাদার আবদুল জলিল সৈয়দপুর শহরের দৃষ্টিনন্দন ছাত্রাবাসে তাঁর এক পরিচিত ব্যক্তিকে খুঁজতে যান। এ সময় প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় ছাত্ররা চোর সন্দেহে তাঁকে পিটিয়ে জখম করেন। পরে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান। এই ঘটনায় আবদুল জলিলের পরিবারের পক্ষ থেকে সৈয়দপুর থানায় ওই সময় হত্যা মামলা করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) নীলফামারীর সহকারী পুলিশ সুপার এস এম রমজান হোসেন বলেন, ‘মামলার বিষয়ে সৈয়দপুর থানা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ায় বাদী আদালতে নারাজি আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি সিআইডিতে তদন্তের জন্য হস্তান্তর করেন বিজ্ঞ আদালত। আমরা অধিকতর তদন্তে ঘটনার রহস্য উন্মোচন করি এবং প্রকৃতপক্ষে এই ছাত্রাবাসের ছাত্ররাই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছেন বলে জানতে পারি। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছি আর বাকি ছয়জন পলাতক রয়েছেন।