ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা, পরে গর্ভপাতে মৃত্যু!

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা এক তরুণীর (১৬) গর্ভপাতে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে মারা যাওয়া তরুণীর বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা করেছেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি পল্লি চিকিৎসক আলমগীর হোসেনকে আজ শনিবার বিকেলে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, উপজেলার হেলেনা আক্তার প্রতিবেশী হানিফ হাওলাদারের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করত। গত ২৮ নভেম্বর রাতে কাজ শেষে ঘুমিয়ে পড়লে গৃহকর্তা হানিফ হাওলাদার তাকে ধর্ষণ করেন। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনার আড়াই মাস পর হেলেনার শারীরিক পরিবর্তনের কারণে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর হানিফের মা জাহানারা বেগম হেলেনার গর্ভপাত করানোর জন্য স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক আলমগীর হোসেনের কাছে নিয়ে গিয়ে ওষুধ খাওয়ান। গত বৃহস্পতিবার সকালে ওষুধ খাওয়ার পর হেলেনার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এরপর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ওই দিন বিকেলে হেলেনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়। এরপর তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ টিয়ারখালী গ্রাম থেকে হেলেনা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে। এরপর রাতে এ ঘটনায় হেলেনার বাবা বাদী হয়ে হানিফ হাওলাদারকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় হানিফ হাওলাদারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের কারণে হত্যার অভিযোগ করা হয়। এ ছাড়া গর্ভপাতে সহযোগিতা করায় হানিফ হাওলাদারের মা জাহানারা বেগম, পল্লি চিকিৎসক আলমগীর হোসেনসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে ময়নাতদন্ত করার জন্য লাশ পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা চালানো হচ্ছে।