ভোট পুনর্গণনার দাবিতে মানববন্ধন এলাকাবাসীর

নীলফামারীর ডোমারের পাঙ্গামটুকপুর ইউপির উপনির্বাচনের ফলাফল বাতিল ও ভোট পুনর্গণনার দাবিতে গতকাল মানববন্ধন করা হয়।  ছবি: প্রথম আলো
নীলফামারীর ডোমারের পাঙ্গামটুকপুর ইউপির উপনির্বাচনের ফলাফল বাতিল ও ভোট পুনর্গণনার দাবিতে গতকাল মানববন্ধন করা হয়। ছবি: প্রথম আলো

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাঙ্গামটুকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনের ভোট পুনর্গণনার দাবিতে গতকাল শনিবার মানববন্ধন হয়েছে।

পাঙ্গামটুকপুর ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে পাঙ্গা মহেশ লালা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী আয়োজিত এ মানববন্ধনে কয়েক শ মানুষ অংশ নেন। ২০১৮ সালের ২১ নভেম্বর পাঙ্গামটুকপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ মারা যান। এরপর চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন হয়। নির্বাচনে মোট তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এমদাদুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে ৫ হাজার ৪২৫ ভোট পাওয়ায় তাঁকে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর নিকটতম অপর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল হাকিম (চশমা) ৫ হাজার ২৫৮ ভোট ও আরিফ রব্বানী (আনারস) ১ হাজার ৬২৬ ভোট পান।

মানববন্ধন চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন উপনির্বাচনের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল হাকিম, স্থানীয় বাসিন্দা আতিয়ার রহমান প্রমুখ।

 বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পাঙ্গামটুকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনের কারচুপি করে এমদাদুল ইসলামকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁরা রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান।

আবদুল হাকিম দাবি করে বলেন, ভোট গ্রহণ শেষে যখন ভোটকেন্দ্রগুলোতে ফলাফল ঘোষণা করা হয় তখন চশমা প্রতীক ১ হাজার ২০০ ভোটে নৌকা প্রতীকের থেকে এগিয়ে ছিল।

নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড ভোটকেন্দ্রে পরিকল্পিতভাবে নৌকার প্রতীকের লোকজন নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করে কেন্দ্র দখল করেন। পরে নৌকা প্রতীকে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করেন।

এদিকে পুলিশ ও র‍্যাব এসে ফাঁকা গুলি আর কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ওই কেন্দ্রের ব্যালট বাক্স উপজেলা পরিষদে নিয়ে যান। রাতে ওই কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ১ হাজার ৫৯২ ভোটের মধ্যে নৌকা প্রতীক ১ হাজার ১০৪, চশমা প্রতীক ১৭০ এবং আনারস প্রতীক ৩১৮ ভোট পেয়েছে।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ডোমার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুর রহিম বলেন, ফলাফল বাতিল কিংবা পুনর্গণনার বিষয়টি দেখার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের। কোনো প্রার্থী চাইলে তিনি নির্বাচন কমিশনে আবেদন করতে পারবেন।