১৩ দিন কারাভোগের পর জি কে গউছের মুক্তি

কারাগার থেকে মুক্তির পর হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন দলীয় নেতা–কর্মীরা। আজ দুপুরে জেলা কারাগারের সামনে। ছবি: প্রথম আলো
কারাগার থেকে মুক্তির পর হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন দলীয় নেতা–কর্মীরা। আজ দুপুরে জেলা কারাগারের সামনে। ছবি: প্রথম আলো

১৩ দিন কারাভোগের পর আজ রোববার উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছ।

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন হবিগঞ্জ শহরের জে কে অ্যান্ড এইচ কে হাইস্কুল, স্টাফ কোয়ার্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যশেরআব্দা সওদাগর কৃষ্ণধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শহরতলীর তেতৈয়া ভোটকেন্দ্র দখল, গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশেকে মারপিটের অভিযোগে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় চারটি মামলা হয় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছসহ বিএনপির ১২০০ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতারা বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন।

গত ২০ জানুয়ারি এই ৪টি মামলায় উচ্চআদালত থেকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন পান জি কে গউছসহ অন্য আসামিরা। এই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আমজাদ হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চান জি কে গউছসহ বিএনপির ১৪ নেতা–কর্মী। জামিন আবেদন শোনানি শেষে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন এবং কারাগারে পাঠান।

এদিকে ১৩ দিন কারাভোগের পর আজ কারাগার থেকে মুক্তি পান জি কে গউছসহ বিএনপির ১৪ নেতা–কর্মী। এর আগে গত ২৫ ফেব্রয়ারি উচ্চ আদালতে আসামিদের জামিন চাওয়া হয়। বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয় বেঞ্চ তাঁদের জামিন দেন।

জি কে গউছের মুক্তির খবর পেয়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা আজ দুপুর থেকে জেলা কারাগারের সামনে ভিড় করেন। সেখানে তাঁরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন জি কে গউছকে। এ সময় জি কে গউছ বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে আটকে রাখা যায় না। আওয়ামী লীগ নির্বাচনের আগের রাতেই ভোট জালিয়াতি করে। পরের দিন বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর ভোটকেন্দ্র দখল ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে মামলা করে।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জি কে গউছ হবিগঞ্জ (সদর)-৩ আসনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন। এর আগে তিনি হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে এ নির্বাচনে অংশ নেন।