ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতি, ৯ ব্যাংকারকে তলব

দুদক
দুদক

ফারমার্স ব্যাংকে (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ব্যাংকটির ৯ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার তাঁদের তলব করে চিঠি পাঠিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক সামছুল আলম।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, এসব ব্যাংকারকে ৬ মার্চ বুধবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। এসব কর্মকর্তাকে যথাসময়ে দুদকে উপস্থিত হতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

যাঁদের তলব করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ব্যাংকটির শেরপুর শাখার ৫ কর্মকর্তা। তাঁরা হলেন অপারেশনস ম্যানেজার এডিএম সোলাইমান, ক্রেডিট অফিসার কামরুল ইসলাম, ইমাম হোসাইন, মো. আবদুল্লাহ ও ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার মো. আবু নাঈম। তলব করা অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রধান কার্যালয়ের করপোরেট ব্যাংকিং ডিভিশনের এসভিপি অলক কুমার বিশ্বাস, হেড অব এইচআরডি রিতা সেন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহজাহান আমিন এবং গুলশান শাখার হেড অব সিএডি আশীষ কুমার লস্কর।

ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকটির নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ও তাঁর ছেলেসহ কয়েকজন ব্যাংকারকে আসামি করে এর আগে তিনটি মামলা হয়। ওই সব মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পিতা-পুত্র দুজনই কারাগারে আছেন।

২০১২ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন দেওয়া ফারমার্স ব্যাংক কার্যক্রম শুরুর পরই অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। আস্থার সংকট তৈরি হলে আমানতকারীদের অর্থ তোলার চাপ বাড়ে। পরিস্থিতির অবনতি হলে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী। পরিচালকের পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তাঁরা।

জালিয়াতির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ তদন্তে ব্যাংকটির সাবেক দুই শীর্ষ ব্যক্তির অনিয়ম তুলে ধরা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকটির গ্রাহকের ঋণের ভাগ নিয়েছেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও মাহবুবুল হক চিশতী। এর মাধ্যমে দুজনের নৈতিক স্খলন ঘটেছে এবং তাঁরা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। তবে মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে এখন পর্যন্ত দুদকে তলব করা হয়নি, কিংবা তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়নি।