ছয়টিতেই আ.লীগের 'বিদ্রোহী'

চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর সাতটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ছয়টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া আছেন জাতীয় পার্টি ও জাসদের প্রার্থীরাও। গতকাল সোমবার তাঁরা উপজেলা পর্যায়ের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে সাতটি উপজেলায় মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী হয়েছেন চাটখিলে—ছয়জন। কম প্রার্থী হয়েছেন সুবর্ণচর ও সেনবাগে—দুজন করে। চাটখিলের প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর কবির, ‘বিদ্রোহী’ বিল্লাল চৌধুরী, জাতীয় পার্টির আবুল হাসান, জাসদের হারুনুর রশিদ, স্বতন্ত্র রহিম উদ্দিন ও ফজলুল করিম। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর কবির এ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান। বিল্লাল চৌধুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

অপরদিকে সুবর্ণচরে প্রার্থী হয়েছেন দুজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির দিদার উদ্দিন। এর মধ্যে খায়রুল আনম এ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান। এ ছাড়া সেনবাগে প্রার্থী হয়েছেন দুজন—আওয়ামী লীগের জাফর আহম্মদ চৌধুরী এবং একই দলের ‘বিদ্রোহী’ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর আলম মানিক।
কোম্পানীগঞ্জে প্রার্থী হয়েছেন চারজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, একই দলের বিদ্রোহী মিজানুর রহমান বাদল। তিনি বর্তমান চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এ উপজেলার অন্য দুই প্রার্থী হলেন জাতীয় পার্টির আবদুল লতিফ ও স্বতন্ত্র রেয়াজুল হক লিটন।
কবিরহাট উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন তিনজন—আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলী, ‘বিদ্রোহী’ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আলাবক্স টিটু ও স্বতন্ত্র খাদেমা আক্তার। আলাবক্স টিটু জেলা পরিষদের সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হয়েছেন।

সোনাইমুড়ী উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন চারজন—আওয়ামী লীগের খন্দকার রুহুল আমিন, একই দলের ‘বিদ্রোহী’ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আ ফ ম বাবুল, স্বতন্ত্র মমিনুল ইসলাম ও আকতার হোসেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন তিনজন—আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক বাদশা, একই দলের ‘বিদ্রোহী’ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্যাহ এবং জাতীয় পার্টির আবদুর রব।
সাতটি উপজেলার মধ্যে সুবর্ণচর উপজেলায় মনোনয়নপত্র দাখিলকারী দুজন প্রার্থীর মধ্যে একজন দিদার উদ্দিন গতকাল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেন। এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবু ওয়াদুদ বলেন, গতকাল সকালে দিদার উদ্দিন এসে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেন। তিনি আবেদনটি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন।