ভোক্তার জন্য নিরাপদ খাদ্য, কৃষকের চাই লাভ

প্রথম আলো ফাইল ছবি।
প্রথম আলো ফাইল ছবি।
>

• কৃষক যেন ফসলের ন্যূনতম লাভজনক দাম পান, তা নিশ্চিত করা জরুরি
• একই সঙ্গে সুলভ দামে নিরাপদ খাদ্য দিতে হবে ভোক্তাকে

কৃষকের চাই ফসলের ন্যায্যমূল্য। ভোক্তার চাই সুলভ মূল্যে নিরাপদ খাদ্য। মোটা দাগে এ দুটি বিষয় নিশ্চিত করাই এখন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ দেশ অনেকটাই পেরিয়ে এসেছে।

উৎপাদন বাড়লে দাম কমে। ভোক্তা সস্তায় খাবার পান, কিন্তু কৃষক ফসলের ভালো দাম পান না। উৎসাহ হারিয়ে পরের মৌসুমে কৃষক আবাদ কমিয়ে দেন, খাবারের দাম যায় বেড়ে।

কিন্তু এই হিসাবটা এত সহজ না। চ্যালেঞ্জটিও তাই জটিল। দেশে ধারাবাহিকভাবে কৃষিপণ্যের উৎপাদন বেড়েছে, উৎপাদনের খরচও বেড়েছে। গবেষক ও পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, সরকারকে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। পাশাপাশি কৃষক যেন ফসলের ন্যূনতম লাভজনক দাম বা মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস পান, তা নিশ্চিত করা জরুরি।

এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি থেকে কৃষককে রক্ষা, ক্ষেত্রবিশেষে বিদেশ থেকে অবাধ আমদানি না করা, কৃষক ও ভোক্তাবান্ধব আমদানি শুল্ক বসানো এবং ফসল সংরক্ষণের ব্যবস্থা বাড়ানো জরুরি। সরবরাহব্যবস্থায় মধ্যস্বত্বভোগীদের নিয়ন্ত্রণে রাখাও দরকার।

কৃষিকাজ করে সিংহভাগ কৃষক পরিবার সচ্ছলতার মুখ দেখতে পারে না। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলছেন, শুধু কৃষিকাজ করে জীবিকা চালানো কঠিন। কৃষক পরিবারের সন্তানেরা বেশির ভাগই কৃষিকাজে থাকতে চায় না।

সেলিম রায়হান আরও বলেন, ‘ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডেও বাংলাদেশের মতো ছোট ছোট জমিতে কৃষিকাজ হতো। পরে সেটা বাণিজ্যিক রূপ পায়। কৃষকেরা একত্র হয়ে চাষ করেন। এ পদ্ধতিতে বিনিয়োগ বাড়ে, প্রযুক্তি আসে ও উৎপাদন খরচ কমে। পাশাপাশি সুরক্ষার জন্য বিমাও চালু হয়। বাংলাদেশকেও সেই পথেই যেতে হবে।’

দেশের সাধারণ কৃষকের জন্য সবচেয়ে বড় ফসল ধান। এখন বছরে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টন চাল উৎপাদিত হয়। এতে চাহিদা প্রায় মিটে যায়। তবে দুর্যোগে ফসলহানি হলে আমদানি করতে হয়।

আলু হয় চাহিদার অনেক বেশি। সবজি, মাছ, মাংস, ডিমও আমদানি করতে হয় না। দেশি পেঁয়াজেই চাহিদার বেশির ভাগ মেটে। তবে গম, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি আর আদা-রসুনের বড় অংশই আমদানিনির্ভর।

কৃষকেরা সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন ধানের দাম নিয়ে। গত আমন মৌসুমে তাঁরা ধানের দাম কম পেয়েছেন। কয়েক বছর ধরে পানির দরে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে। দুই মৌসুম হলো পেঁয়াজের উৎপাদন খরচই উঠছে না।

সবজি আবাদ মোটের ওপর লাভজনক। তবে দাম না পেয়ে প্রায়ই সবজি গরুকে খাওয়াতে অথবা ফেলে দিতে বাধ্য হন চাষিরা। পাটের দাম নিয়ে হতাশা ফিরে ফিরে আসে।

মাছ চাষে লাভ আছে, বিনিয়োগও লাগে। পাঙাশ, তেলাপিয়ার মতো সাধারণ মাছে মুনাফা খুবই কম থাকে। দামের ওঠানামায় টিকতে না পেরে মুরগি ও ডিমের হাজার হাজার ছোট খামার বন্ধ হয়ে গেছে। গবাদিপশু আর দুধের চাহিদা আর দামও ওঠানামা করে, প্রায়ই খামারিরা দুধ ফেলে দিয়ে প্রতিবাদ জানান।

ধান নিয়েই বেশি দুশ্চিন্তা
দেশের খুচরা বাজারে এখন প্রতিকেজি চাল ৩৪ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত আমন মৌসুমে চালের উৎপাদন খরচই পড়েছে কেজিতে ৩৪ টাকা।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোরো মৌসুমে প্রতি কেজি ধানের উৎপাদন খরচ ছিল সাড়ে ২৪ টাকা। কৃষকেরা ধান বিক্রি করে ২৫ টাকা বা তার কিছুটা কম দাম পেয়েছিলেন।

কৃষক যেন ধানের ন্যায্যমূল্য পান, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব খাদ্য মন্ত্রণালয়ের। ফসল ওঠার মৌসুমে মন্ত্রণালয় উৎপাদন খরচ বের করে কৃষকের জন্য লাভজনক একটা দাম ঠিক করে দেয়। তারপর মন্ত্রণালয় সেই দামে সরকারি গুদামের জন্য ধান-চাল সংগ্রহ করে। আমদানি শুল্ক ধার্য করার সময় কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ দেখে পরামর্শ দেওয়ার কাজটিও তাদের।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কাজী সাহাবউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় চালের দাম, মজুত ও আমদানির ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে করতে পারেনি। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। নেতৃত্বে দক্ষতারও ঘাটতি ছিল। কৃষকের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের খাদ্য সংগ্রহ কার্যক্রমকে ভূমিকা রাখতে হবে। নতুন সরকারের মন্ত্রীর সে পরিকল্পনা থাকা দরকার।

২০১৩ সাল থেকে দেশের বাজারে চালের দাম মোটামুটি একই ছিল। ২০১৭ সালে হাওরাঞ্চলে ব্যাপক ফসলহানি হয়। উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কার মুখে ব্যবসায়ীরা চালের দাম অনেক বাড়িয়ে দেন।

সে সময় দরিদ্র মানুষের জন্য ১০ টাকা দরে চাল দিয়ে আসছিল সরকার। সরকারি গুদামে মজুত ছিল কম। সরকার তখন নিজেরা চাল আমদানি করে। আর বেসরকারি খাতে আমদানি বাড়াতে শুল্ক একেবারেই কমিয়ে দেয়।

আমদানি বাড়ে, তবে চালের দাম তেমন কমে না। ২০১৮ সালে বোরো মৌসুমে ব্যাপক আবাদ ও ফলন হলে ধানের দাম পড়ে যায়। সরকার তখন চালের আমদানি শুল্ক আবার বাড়িয়ে দেয়। তখন আমদানি কমে গেলে দাম আবার বাড়ে। তবে লাভ করেন ব্যবসায়ীরা, কৃষকের জন্য ধানের দাম এখনো লাভজনক হয়নি।

২০১৯ সালের গোড়ায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিবিষয়ক সংস্থা ইউএসডিএ বলেছে, বিশ্বে এ বছর ধানের উৎপাদন সবচেয়ে বেড়েছে বাংলাদেশে।

সবজিতে লাভ বেশি, তবে...
সবজিসহ দেশের অন্যান্য প্রধান কৃষিপণ্যগুলোর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার কাজটি বাজারের নিয়মে ঘটে। সেসব ক্ষেত্রে কৃষকের উৎপাদন খরচ ও ভোক্তার ক্রয়মূল্যের মধ্যে ফারাক কমানোর কোনো চেষ্টা সরকারকে করতে দেখা যায় না।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনে (২০১৭-১৮) তিনটি সবজির ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তরে লাভ ও দাম বাড়ার তথ্য দেওয়া আছে। এতে দেখা যায়, ওই অর্থবছরে এক কেজি আলু উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয়েছে ৭ টাকা ৬০ পয়সা। কৃষক সেটা স্থানীয় ব্যবসায়ীকে বিক্রি করেছেন গড়ে ১ টাকা ২৫ পয়সা লাভে। আরও দুই হাত ঘুরে সেই আলু ভোক্তার কাছে যাচ্ছে। ভোক্তা কিনছেন ২২ টাকা কেজি দরে। প্রতি ধাপেই বিক্রেতার লাভের পরিমাণ কৃষকের চেয়ে বেশি। একই দশা বেগুন ও টমেটোতেও।

দেশে বছরে আলু উৎপাদিত হয় ৯৫ লাখ টনের বেশি। ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশে আলুর চাহিদা ৬০-৬৫ লাখ টন। বাড়তি উৎপাদনের কারণে বাজারে এখন আলুর দাম কেজিপ্রতি ১৫ টাকায় নেমেছে। কৃষক পর্যায়ে এ দর চার থেকে ছয় টাকা। অথচ এক কেজি আলুর উৎপাদন খরচ সাড়ে ৭ টাকার মতো।

পেঁয়াজেও একই চিত্র। ভরা মৌসুমে ভারত থেকে প্রচুর পেঁয়াজ আসছে। ফলে খুচরা বাজারে দাম নেমেছে কেজিপ্রতি ২০-২৫ টাকায়। কৃষক পাচ্ছেন ১০-১২ টাকা।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, এক বছর আগের তুলনায় এখন বাজারে আলুর দর ৪০ শতাংশ ও পেঁয়াজের দর ৫২ শতাংশ কম। আলু-পেঁয়াজের দর এখন উৎপাদন খরচের চেয়ে কম। কৃষক লোকসান গুনে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

নিরাপদ খাদ্য
দেশে এখন খাদ্যের অভাব নেই, তবে নিরাপদ খাদ্যের অভাব আছে। কৃষিতে অতিমাত্রায় কীটনাশকের ব্যবহার বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। খামারের মাছ-মুরগিকে অ্যান্টিবায়োটিক আর ক্ষতিকর উপাদানযুক্ত খাবার দেওয়া হচ্ছে। খাদ্যচক্রে আরও দূষণের ঝুঁকি আছে।

সরকারের নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের দরকার গুড অ্যাগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস (ভালো কৃষির চর্চা—গ্যাপ) নিশ্চিত করা, যেখানে পরিমিত মাত্রায় সঠিক কীটনাশক ও সার ব্যবহার করা হবে। কৃষি দপ্তর ‘বাংলা গ্যাপ’ পরিকল্পনা করেছে। এখন তার বাস্তবায়ন করতে হবে।’

পরিবেশদূষণের কারণে অনেক সময় মাটি ও পানি থেকে ভারী ধাতু ফসলে ঢুকছে। সেটা খাবারের মধ্য দিয়ে মানুষের শরীরেও ঢুকছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুধসহ বিভিন্ন খাদ্যে ধাতু বা অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি নির্ণয়ের জন্য বিস্তারিত গবেষণা দরকার।

বিভিন্ন কৃষিপণ্যের উৎপাদন বেড়ে যাওয়া নিয়ে সরকারের আত্মতৃপ্তি আছে বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ এম এম শওকত আলী। তিনি বলছেন, উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক এই সচিব আরও বলেন, কৃষক নিজের উদ্যোগে সবজি ও মাছ চাষে যে বিশাল বিপ্লবটি করে ফেললেন, তা যাতে টেকসই হয় সে জন্য তাঁদের সহায়তা দিতে হবে। তাঁদের উৎপাদিত খাদ্যকে নিরাপদ করার উদ্যোগ নিতে হবে। এটা সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

কে এ এস মুরশিদ
কে এ এস মুরশিদ


বিশেষজ্ঞ অভিমত
কৃষির নতুন প্রযুক্তিতে নজর দিতে হবে
কে এ এস মুরশিদ
মহাপরিচালক, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)

গ্রামীণ অর্থনীতিতে কৃষি এখনো বড় ভূমিকা রাখে। কৃষির যে উন্নতি আমরা ১০-১২ বছর ধরে দেখছি, তার গতি এখন ধীরে ধীরে শ্লথ হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করতে হলে কৃষির নতুন প্রযুক্তির দিকে নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে।

চালের দাম নিয়ে নীতি নির্ধারকসহ দেশের বিভিন্ন মহলে প্রথাগত মানসিকতা রয়েছে। সবাই মনে করে, চালের দাম কম থাকলে ভালো। চালের দাম নিয়ে এত সংবেদনশীল হওয়ার কিছু নেই। যারা হতদরিদ্র, তাদের বিষয় আলাদা। তাদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাওয়া দরকার। সাধারণভাবে বাজারে চালের দাম দু-এক টাকা বেড়ে গেলেই উদ্বেগ–উৎকণ্ঠা তৈরি হয়। এটি ঠিক নয়। কৃষকের উৎপাদিত পণ্যে উপযুক্ত দাম নিশ্চিত করাটা জরুরি।

গ্রামে কৃষির উন্নয়নে ক্ষুদ্রঋণ, মোবাইলের মাধ্যমে অর্থের লেনদেন থেকে শুরু করে কৃষির যান্ত্রিকীকরণ বড় ভূমিকা রাখছে। এসব প্রযুক্তি কৃষকের জন্য সংযোগ ও নানা সুবিধা এনে দিচ্ছে। এমন কোনো নীতিগত উদ্যোগ নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে কৃষকের সুযোগগুলো সংকুচিত হয়। সরকারি পর্যায়ে কৃষি পণ্যের বিতরণব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও কৃষির জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর করতে হবে।

আমাদের জাতীয় ও গৃহস্থ পর্যায়ে খাদ্যসংকট একসময় নিয়মিত ব্যাপার ছিল। এখন আমরা সেই স্তর অতিক্রম করেছি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের প্রধান খাদ্য চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এটি স্বস্তির পরিস্থিতি দিয়েছে, যার ওপর ভর করে আমরা এখন আরও সামনের দিকে এগোচ্ছি। এখন আমাদের নিরাপদ খাদ্যের কথা চিন্তা করতে হবে। খাদ্যে যাতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক কিছু না থাকে। অনিরাপদ খাদ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দুর্বল করে দেবে।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিকেও এখন সময় উপযোগী করতে হবে। আগের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যে কাজ করছে না তার বড় প্রমাণ হচ্ছে খোলা বাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস) কার্যক্রমে তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কৃষকের ধান চাষে ভর্তুকি দেব, না অন্য কোথাও দেব।