ভাড়াটে খুনি দিয়ে ব্যবসায়ী শাফাকে হত্যা

দুই লাখ টাকার চুক্তিতে ভাড়াটে খুনি দিয়ে যশোর শহরের মোটরগাড়ির যন্ত্রাংশের ব্যবসায়ী মহিদুল ইসলাম ওরফে শাফাকে হত্যা করান চৌধুরী আনোয়ার রেজা ওরফে ওয়াশিংটন (৪৮)। বিদেশি ওয়ান শুটার গান, গুলি, ইয়াবাসহ তাঁকে যশোর শহরের খড়কি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ। বুধবার বিকেলে জেলা ডিবি পুলিশের দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী চৌধুরী আনোয়ার রেজা ওরফে ওয়াশিংটন। ভারতে অবস্থান করে তিনি দুই লাখ টাকার চুক্তিতে ভাড়াটে খুনি শেখ শাহাবুদ্দীনকে দিয়ে সাফাকে হত্যা করান। এর জন্য নগদ ২০ হাজার টাকা তাঁকে দেওয়া হয়েছে। হত্যা মিশন শেষে অবশিষ্ট টাকা দেওয়ার কথা ছিল। ইতিমধ্যে শেখ শাহাবুদ্দিনকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী চৌধুরী আনোয়ার রেজা যশোর শহরের নলডাঙ্গা সড়কের চৌধুরী আলী রেজার ছেলে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি পুলিশ যশোরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তারের সময় ওয়াশিংটনের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, একটি গুলি, ৫০০টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে আরও দুটি মামলা করা হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণে দুই লাখ টাকার চুক্তিতে ভাড়াটে খুনি দিয়ে ব্যবসায়ী শাফাকে খুন করানো হয়। এই ঘটনায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়। যশোরের পুলিশ সুপার মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবিতে স্থানান্তর করেন। এরপর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে দুজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

পুলিশ জানায়, এই মামলার প্রধান আসামি শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দুই লাখ টাকার চুক্তি হয় ওয়াশিংটনের। প্রথমে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয় এবং পরে বাকি টাকা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন ওয়াশিংটন। হত্যাকাণ্ডের আগে থেকেই তিনি ভারতে অবস্থান করে হত্যাকারীদের সঙ্গে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। গত ১৭ জানুয়ারি তিনি ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করে আত্মগোপনে ছিলেন।

গত ১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় যশোর শহরের ঈদগাহ মোড়ে এইচ এন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক মহিদুল ইসলাম শাফাকে খুন করা হয়। দুর্বৃত্তরা তাঁর গলায় ছুরির পোচ দিয়ে তাঁকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। নিহত শাফা যশোরের শার্শা উপজেলার ধান্যখোলা গ্রামের নবিস উদ্দিনের ছেলে। তিনি যশোর শহরের খালধার রোডে ভাড়া বাসায় থাকতেন।