ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ী যাঁরা

সহসভাপতি (ভিপি) ও সমাজসেবা সম্পাদক পদ ছাড়া ডাকসুর ২৫টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জয় পেয়েছে ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ইতিহাসে এই প্রথম ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ভোটে বেশির ভাগ পদে নির্বাচিত হলো।

গত সোমবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী নুরুল হক। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৬২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রেজোয়ানুল হক চৌধুরী (শোভন) পেয়েছেন ৯ হাজার ১২৯ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১০ হাজার ৪৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ছাত্রলীগের গোলাম রাব্বানী। তিনি সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ
 সম্পাদক। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী রাশেদ খান পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৩ ভোট।

সহসাধারণ সম্পাদক পদে ছাত্রলীগের সাদ্দাম হোসেন ১৫ হাজার ৩০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী ফারুক হোসেনের চেয়ে তিনি ৯ হাজার ৪০৫ ভোট বেশি পেয়েছেন। এবার ডাকসু নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন সাদ্দাম।

সম্পাদক পদে বিজয়ীরা
সাদ বিন কাদের (স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক), মো. আরিফ ইবনে আলী (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক), লিপি আক্তার (কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক), শাহরিমা তানজিন (আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক), মাজহারুল কবির (সাহিত্য সম্পাদক), আসিফ তালুকদার (সংস্কৃতি সম্পাদক), শাকিল আহমেদ (ক্রীড়া সম্পাদক) ও মো. শামস–ঈ–নোমান (ছাত্র পরিবহন সম্পাদক)।

এ ছাড়া সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে আখতার হোসেন সমাজসেবা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

সদস্য পদে নির্বাচিত যাঁরা
ডাকসুর ১৩টি সদস্য পদে নির্বাচিতরা হলেন যোশীয় সাংমা চিবল, মো. রকিবুল ইসলাম, মো. তানভীর হাসান, তিলোত্তমা সিকদার, নিপু ইসলাম, রাইসা নাসের, সাবরিনা ইতি, মো. রাকিবুল হাসান, নজরুল ইসলাম, ফরিদা পারভীন, মাহমুদুল হাসান, মো. সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।