১০টির মধ্যে চারটিতে প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে

দ্বিতীয় দফায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নওগাঁর ১১টি উপজেলার মধ্যে একটিতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ কারণে ১৮ মার্চ ভোট হবে ১০টি উপজেলায়।

এর মধ্যে চারটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। এসব উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা।

পোরশা, সাপাহার, ধামইরহাট ও রানীনগর উপজেলায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভোটের আমেজ লক্ষ করা গেছে। এসব উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থীরা শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। এই চার উপজেলা ছাড়াও জেলার আরও ছয়টি উপজেলায় ১৮ মার্চ ভোট। উপজেলাগুলো হলো নিয়ামতপুর, পত্নীতলা, মহাদেবপুর, বদলগাছী, মান্দা ও আত্রাই। এই ছয় উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে তেমন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই। এসব এলাকায় নির্বাচনী উত্তাপ তেমন লক্ষ করা যাচ্ছে না। ভোটাররা নির্বিকার।

সাপাহার উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামসুল আলম শাহ্ চৌধুরী নৌকার প্রার্থী। সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান হোসেন। চেয়ারম্যান পদে অন্য দুই প্রার্থী হলেন জাতীয় পার্টির ইব্রাহিম হোসেন ও জাকের পার্টির মোহাম্মদ আলী। এখানে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাহান হোসেন (আনারস)। এখানে নৌকার প্রার্থী সামসুল আলম। দুজনই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। ভোট প্রার্থনা করছেন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা তাঁদের মধ্যে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পোরশা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ্ মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরীর (আনারস) শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আরেকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মাজেদ আলী (মোটরসাইকেল)।

দলীয় নেতা-কর্মী ও উপজেলার সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই উপজেলায় নৌকার সঙ্গে আনারসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ধামইরহাটের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজহার আলী দলীয় প্রতীক পেয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আ ন ম আফজাল হোসেন (কাপ-পিরিচ)। চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মোহাম্মদ হানজালা (আনারস) ও আয়েন উদ্দীন (ঘোড়া)।

রানীনগরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন। দুজন বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন। তাঁরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন। বিদ্রোহী দুই প্রার্থী শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। এখানে ত্রিমুখী লড়াই হবে।