৩১ মার্চের মধ্যে আবার নির্বাচনের দাবি নুরুলের

সব পদেই আবার নির্বাচন চেয়েছেন ডাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক। আজ বুধবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ কথা বলেন।

নুরুল হক বলেন, ‘শত কারচুপির পরও আমাকে এবং আখতার হোসেন আমার প্যানেল থেকে হারাতে পারেনি। তবে অন্যদের হারিয়ে দিতে পেরেছে তারা নীলনকশা করে। এখন আমরা দেখছি যে ছাত্রলীগ বাদে অন্য সব সংগঠন পুনর্নির্বাচন চাইছে এবং সে লক্ষ্যে তারা আন্দোলন করছে। আজ ভিসি স্যারকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে। আমি তাদের প্রতিনিধি হিসেবে, এত কারচুপির মধ্যেও যেখানে নির্বাচিত হয়েছি, আমি তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে তাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করছি। আমিও চাই, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন বাতিল করে ৩১ মার্চের মধ্যেই পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে।’

গত সোমবার নির্বাচনের দিন রোকেয়া হলে নিজের ওপর হামলার বিষয়ে নুরুল হক বলেন, ‘রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদা ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট–সেক্রেটারিকে ফোন দেন এবং তারা আমার ওপর হামলা চালিয়েছিল। তাদের লেডি মাস্টার বাহিনী রয়েছে, শোভন ভাইয়ের নেতৃত্বে তারা আমার ওপর হামলা চালিয়েছিল।’

ডাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি নুরুল হক হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: আবদুস সালাম
ডাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি নুরুল হক হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: আবদুস সালাম

নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে জানিয়ে নুরুল হক বলেন, ‘ছেলেদের হলগুলোয় যেটা দেখেছি, বিশেষ করে, প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জোর করে লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন তাঁরা, যাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো অলিখিতভাবে ইজারা নিয়েছেন, সেই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন। তাদের বলেছে, তারা প্রত্যেকে যেন ভোট দিতে গিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় নষ্ট করে। এ ধরনের অনিয়ম আমরা দেখেছি।’