পিকনিকে গিয়ে ট্রাকের চাপায় শিক্ষার্থী নিহত

বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে পিকনিকে গিয়েছিল নয় বছরের হাসান মিয়া। সবাই মিলে হইচই করছিল বেশ। পথে বাস থামলে কয়েকজন প্রস্রাব করতে নামে। তাদের সঙ্গে নেমেছিল হাসানও। কিন্তু রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। মুহূর্তেই আনন্দের এ যাত্রা শোকে পরিণত হয়।

আজ বুধবার সকালে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার জালশুকা রেলগেট এলাকায় শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত হাসান ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার চরখালী বাজাইল গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। সে ওই এলাকার ভাটিপাড়া বালারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার চরখালী ও ভাটিপাড়া বালারচর এলাকার বিভিন্ন স্কুলের ৪৫ জন শিশু-কিশোর ও শিক্ষক আজ সকালে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পিকনিক করতে বাসে রওনা দেয়। সকাল ১০টার দিকে পূর্বধলা উপজেলার জালশুকা রেলগেইট এলাকায় পৌঁছালে বাসটি থামানো হয়। পরে বাসে থাকা হাসানসহ অন্যান্য বাচ্চারা প্রস্রাব করতে নিচে নামে। রাস্তা পার হওয়ার সময় দুর্গাপুরগামী একটি ট্রাক হাসানকে চাপা দিলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় আশপাশে থাকা উত্তেজিত জনতা ধাওয়া করে ট্রাকটি আটকে চালক নাজমুল ইসলাম (২৪) ও সহকারী সাইফুল ইসলামকে (১৬) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিহত ওই স্কুলছাত্রের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় আটক দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’