অনিয়ম তদন্তে ক্যাম্পাসে দুদকের কর্মকর্তারা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করতে ক্যাম্পাসে গিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা। গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত তাঁরা অবস্থান করে বিভিন্ন বিষয়ের অনুসন্ধান করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিভিন্ন নির্মাণকাজের তথ্য চেয়ে মো. আবু সাঈদের কাছে চিঠি দেয় দুদক। পরে দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে গিয়ে আংশিক তথ্য জমা দেন তিনি। দুদকের পাঠানো ওই চিঠির মাধ্যমে মো. আবু সাঈদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজের ক্ষেত্রে দুর্নীতি করে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করতে নানা তথ্য চাওয়া হয়। তাঁকে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের দ্বিতীয় একাডেমিক ভবন নির্মাণের বরাদ্দপত্র, আহ্বানকৃত টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি, প্রাপ্ত টেন্ডারসমূহ ও টেন্ডারের সঙ্গে সংযুক্ত যাবতীয় কাগজপত্র, কারিগরি ও প্রশাসনিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনসহ আরও কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়।

দুদকের সহকারী পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছিল তা জমা দিয়েছেন আবু সাঈদ। সে অনুযায়ী তিনজন প্রকৌশলী নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রকৌশলীরা গতকাল ক্যাম্পাসের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এখন সেসব তথ্যের সঙ্গে আবু সাঈদের দেওয়া কাগজপত্র মিলিয়ে দেখা হবে।
অভিযোগকারী সাবেক শিক্ষার্থী অভ্র ঘোষ বলেন, ‘গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ নিয়ে খবর প্রকাশ হয়েছে। এসব দেখে দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবন নির্মাণের কাজ চোখে পড়ে। কাজ দেখে সন্দেহ হওয়ায় কিছু কাগজপত্র জোগাড় করি। পরে এসব কাগজ দুদকে পাঠাই।’

এসব বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ হোসেনকে কয়েকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের দ্বিতীয় একাডেমিক ভবনের নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয় ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট। এ কাজ ২০১৮ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো সেই কাজ শেষ হয়নি।