কচুরিপানার নিচে গলিত লাশ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনায় হাত-পা ধুতে গিয়ে কচুরিপানার নিচে গলিত লাশ দেখে চিৎকার দিয়ে পানি থেকে উঠে আসে এক কিশোর। এই খবর পেয়ে ওই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে নেত্রকোনা সদর উপজেলার নন্দীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় নন্দীপুর গ্রামের একটি ডোবায় স্থানীয় এক কিশোর মাঠ থেকে ফেরার পর হাত-পা ধুতে যায়। তার সঙ্গে ছিল আরও কয়েকজন। এ সময় ওই কিশোর তার সামনে কচুরিপানার ফাঁকে একজনের গলিত লাশ দেখে চিৎকার দিয়ে পানি থেকে উঠে আসে। অন্য কিশোরেরাও ভয়ে চলে যায়। বিষয়টি তারা স্থানীয় লোকজনকে জানায়। স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানালে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গলিত লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। উদ্ধার হওয়া ওই দেহটি নারী না পুরুষের, তা সঠিকভাবে বোঝার উপায় নেই। মৃতদেহটি অনেক দিন ধরে পানিতে থাকায় শরীর পচে একাকার হয়ে গেছে।

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘উদ্ধার করা গলিত ওই লাশ নারী না পুরুষের, তা বোঝার উপায় নেই। তবে আমাদের ধারণা, এটি নারীর লাশ। ময়নাতদন্তের পর তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে লাশটি কচুরিপানার নিচে ডুবিয়ে রেখে গেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি পৌর শহরের ধারিয়া এলাকায় মগড়া নদীর আবদ্ধ পানিতে এক নারী কচুরিপানা কাটতে গিয়ে নদীতে গলিত মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ তা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ওই দেহ একজন নারীর ছিল বলে ময়নাতদন্তে জানা যায়।