সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগ

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় এক সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এহসানুল হাকিম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত ওই সরকারি কর্মকর্তার নাম ইদ্রিস আলী ফকির। তিনি সোনালী ব্যাংক বালিয়াকান্দি উপজেলা শাখার অফিসার পদে কর্মরত। দুপুরে তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন ইউএনও। অভিযোগকারী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এহসানুল হাকিম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

অভিযোগে বলা হয়, ইদ্রিস আলী ফকির সোনালী ব্যাংকের অফিসার হয়েও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত। তিনি সরকারি চাকরিজীবী হলেও প্রকাশ্যে নির্বাচনী এলাকায় দৃষ্টিকটু আচরণ ও অসামাজিক কথাবার্তা বলে জনসাধারণের মধ্যে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করেছেন, যা সরকারি চাকরিজীবী বিধিমালা আইনপরিপন্থী। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এটি নির্বাচনী এলাকায় জনগণের কাছে সন্দেহজনক।

ইদ্রিস আলী ফকির বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নই। কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে কোথাও যাইনি। তবে সমাজের একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমার এলাকায় নির্বাচনী সভা শুনতে গিয়েছিলাম। আর উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতির পদ থেকেও আমি পদত্যাগ করেছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।’

এহসানুল হাকিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইদ্রিস ফকির নৌকার প্রার্থীর পক্ষে বিভিন্ন প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন। তিনি (ইদ্রিস) ইতিমধ্যে বেরুলী, পদমদী, রাজধরপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন। এ বিষয়ে আমার কাছে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।’

সোনালী ব্যাংক বালিয়াকান্দি শাখার ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ইদ্রিস আলী ফকির ব্যক্তিগত কাজে ছুটি নিয়ে ঢাকায় আছেন।

২৪ মার্চ বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মোট আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন রয়েছেন।

ইউএনও এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর দুপুরে ইদ্রিস আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুস্পষ্ট বক্তব্য দাখিলের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এতে তিনি ব্যর্থ হলে অভিযোগ সত্য বলে পরিগণিত হবে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।