জেল থেকে বেরিয়ে প্রার্থীর 'শোডাউন'

জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আচরণবিধি না মেনে শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে এলাকায় আসেন পেকুয়ার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মেহের আলী। গতকাল বিকেলে।  প্রথম আলো
জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আচরণবিধি না মেনে শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে এলাকায় আসেন পেকুয়ার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মেহের আলী। গতকাল বিকেলে। প্রথম আলো

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহের আলী জেল থেকে বের হয়ে পাঁচ শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে এলাকায় ফিরেছেন। এতে ওই প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন বলে অভিযোগ করেছেন অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিনি এলাকায় ফেরেন। ১৩ মার্চ তিনি একটি হত্যা মামলায় জেল থেকে মুক্তি পান। তিনি স্থানীয় সাংসদ জাফর আলমের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

সরেজমিনে দেখা যায়, পাঁচ শতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, জিপগাড়ি নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহের আলী কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বরইতলী নতুন রাস্তার মাথা থেকে গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে পেকুয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে পথে তিনি স্থানীয় জনগণকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান। এ সময় তাঁর গাড়ির বহরের পেছনে শতাধিক গাড়ি আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

জানতে চাইলে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহের আলী বলেন, প্রচারণা শুরু হওয়ার পর তিনি এলাকায় ছিলেন না। গতকাল এলাকায় ফেরার খবর পেয়ে কর্মী-সমর্থকেরা গাড়ির বহর নিয়ে তাঁকে বরণ করে নেন। এটা আচরণবিধি লঙ্ঘন কি না, তাঁর জানা নেই।

আরেক ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রকাশ্যে পাঁচ শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে ‘শোডাউন’ করেছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহেদি হাসান, কায়সার উদ্দিন ও নাছির উদ্দিন বাদশাও একই অভিযোগ করেন।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো প্রার্থী শোডাউন করেছেন কি না, আমার জানা নেই। এ রকম হয়ে থাকলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’