‘এসো মিলি প্রাণের টানে’ স্লোগান নিয়ে শরীয়তপুর সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নবীন-প্রবীণের মিলনমেলা। কলেজের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত শুক্রবার দিনব্যাপী এই পুনর্মিলনী উৎসবের আয়োজন করা হয়। সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসব শেষ হয়।
শরীয়তপুর শহরের ধানুকা এলাকায় মাদারীপুর-শরীয়তপুর সড়কের পাশে ৬ দশমিক ২ একর জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে কলেজ। ১৯৭৮ সালের ৯ জুন কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। এটি সরকারীকরণ হয় ১৯৮০ সালে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ হাজার ৬৬৬। এখানে একাদশ থেকে স্নাতকোত্তর শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়।
কলেজ ক্যাম্পাসের পাশের মাঠে আয়োজন করা হয় মিলনমেলার। তিন দিন আগে থেকেই বর্ণিল সাজে সাজানো হয় কলেজের বিভিন্ন স্থাপনা। কলেজের ভবন ও আশপাশের ভবনে করা হয় আলোকসজ্জা। শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফের কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় সাবেক শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণা ও মতবিনিময়।
গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ৫০টি বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে ৪০ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক। এ সময় ৪০ বছর পূর্তির ফলক উন্মোচন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর-১ আসনের সাংসদ ইকবাল হোসেন, শরীয়তপুর-৩ আসনের সাংসদ নাহিম রাজ্জাক, সাবেক সাংসদ অপু উকিল, জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের, পুলিশ সুপার আবদুল মোমেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের সাবেক ছাত্র ও বর্তমান অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন।
বিকেলে শুরু হয় কলেজের শিক্ষার্থী ও অতিথি শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই সময় নাচ, গান, নাটক, ও জাদু পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষ হয় গভীর রাতে।
এই আয়োজন সম্পর্কে কলেজের প্রাক্তন ছাত্র বর্তমানে কলেজটির শিক্ষক ফজলুল হক মোল্লা বলেন, এটি জেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই কলেজ থেকে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী বের হয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন। কেউ কেউ তিন প্রজন্মকে নিয়ে উৎসবে যোগ দিয়েছেন। অন্য রকম এক অনুভূতির মধ্যে দিনটি কেটেছে।