সখীপুরে বিদ্যালয়ের জমি দখলমুক্ত করল প্রশাসন

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার দক্ষিণ ঘোনারচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার একটি নির্মাণাধীন টিনের বাড়ি ভেঙে দিয়ে ওই জমি দখলমুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন।
বিদ্যালয়ের জমিদাতা মৃত আবদুল গণির ছেলে আলম মিয়া বিদ্যালয়ের জমিতে একটি টিনের শোবার ঘর ও একটি রান্নাঘর নির্মাণ শুরু করেন। পরে গত বৃহস্পতিবার ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন জমি দখলমুক্ত করতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন করলে উপজেলা প্রশাসন পুলিশের সহযোগিতায় গতকাল ওই বাড়িটি ভেঙে দিয়ে বিদ্যালয়ের জমি দখলমুক্ত করে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘোনারচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই গ্রামের ছয়জন ব্যক্তি ২০৪ শতাংশ জমি ওই বিদ্যালয়ের নামে লিখে দেন। ১৫ দিন আগে ওই বিদ্যালয়ের জমিদাতা মৃত আবদুল গণির ছেলে আলম মিয়া পিতার দান করা ওই জমিতে একটি টিনের বাড়ি করা শুরু করেন। ইতিমধ্যে তিনি ২২ হাত লম্বা একটি টিনের শোবার ঘর ও ১৪ হাত লম্বা একটি
রান্নাঘর আংশিক নির্মাণ করেন। এ অবস্থায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন ওই বাড়িটি ভেঙে দিয়ে বিদ্যালয়ের জমি দখলমুক্ত করার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আয়শা জান্নাত তাহেরা পুলিশ নিয়ে গিয়ে ওই বাড়িটি অপসারণ করে জমি দখলমুক্ত করেন।
জমি দখলকারী আলম মিয়া গতকাল মুঠোফোনে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পাশের ওই জমি দীর্ঘদিন ধরে আমি ভোগদখল করছি। এখন জানতে পারলাম, আমার বাবা ওই জমি আগেই বিদ্যালয়ের নামে লিখে দিয়েছেন।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বিদ্যালয়ের জমি দখলমুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন ওই জমি দখলমুক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আয়শা জান্নাত তাহেরা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়ের জমি দখলমুক্ত করতে পুলিশ ও শ্রমিক নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের দেখে জমি দখলকারী আলম মিয়া তাঁর লোকজন দিয়েই সব মালামাল ভেঙে নিয়ে যান।’