উত্তরা ট্রাফিক জোনের উদ্যোগে শিশুদেরকে হেলমেট বিতরণ

স্কুলগামী শিশু শিক্ষার্থীর মাথায় হেলমেট পড়িয়ে দিচ্ছেন ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা।
স্কুলগামী শিশু শিক্ষার্থীর মাথায় হেলমেট পড়িয়ে দিচ্ছেন ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা।

স্কুলগামী শিশুশিক্ষার্থী ও মোটরসাইকেলের শিশু আরোহীর জন্য হেলমেট বিতরণ করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ট্রাফিক বিভাগের উত্তরা ট্রাফিক জোন। গতকাল সোমবার সকালে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের চৌরাস্তা মোড়ে হেলমেটগুলো বিতরণ করা হয়।
ট্রাফিক উত্তরা অঞ্চল জানায়, শিশু দিবস উপলক্ষে এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে মোটরসাইকেলের চালকদের (অভিভাবকদের) সচেতন করা হচ্ছে এবং সঙ্গে থাকা শিশু আরোহীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে শিশুর জন্যও হেলমেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি শিশু আরোহীর সুরক্ষা নিশ্চিতে একটি করে হেলমেট দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর ১২টায় উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর চৌরাস্তা মোড়ে ট্রাফিক উত্তরা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলীর উপস্থিতিতে এই বিশেষ কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ সময় মোটরসাইকেলে অভিভাবকদের সঙ্গে থাকা শিশু আরোহীর যাদের হেলমেট নেই, তাদেরকে থামিয়ে সঙ্গে থাকা সন্তানের নিরাপত্তার স্বার্থে কেন হেলমেট ব্যবহার করা হচ্ছে না সেটি জানতে চাওয়া হয়। পরে শিশু আরোহীর সুরক্ষার জন্য অভিভাবককে সচেতন করে শিশুর মাথায় হেলমেট পরিয়ে দেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।
কামারপাড়ার পরশমণি ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসনিন জাহানকে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে একটি হেলমেট দেওয়া হয়। হেলমেট পেয়ে খুশি তাসনিন বলে, ‘আমার খুব ভালো লাগছে। হেলমেট আমাকে সুরক্ষা দিবে।’ তার বাবা সামসুদ জামান শিশুদের নিরাপত্তায় এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় ট্রাফিক পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
ট্রাফিক উত্তরা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী বলেন, ‘বাস্তবে রাস্তায় কাজ করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, আইনের কঠোর প্রয়োগের পরেও বাচ্চাদের হেলমেট ব্যবহারের বিষয়টি উপেক্ষিত রয়ে যাচ্ছে। যাঁরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন, তাঁদের অধিকাংশই বাচ্চার জন্য হেলমেট ব্যবহার করেন না। মানবিক বিবেচনায় বাচ্চার হেলমেট না থাকলে এর বিরুদ্ধে আমরা আইন প্রয়োগও করতে পারি না। তাই এ রকম সব অভিভাবককে সচেতনতার একটি বার্তা দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে করে অন্য অভিভাবকেরাও সচেতন হবেন। আর বাচ্চারাও ছোট বয়স থেকে এই বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।’
গতকালের এই কর্মসূচিতে প্রায় ২৫টি শিশুকে হেলমেট দেওয়া হয়েছে। এ সময় শিশুদের হাতে গোলাপ ফুল দিয়েও শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং শিশুদের চকলেট দেওয়া হয়। স্কুলভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে ট্রাফিক আইন বিষয়ে সচেতনতা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।