রাঙামাটিতে ব্রাশফায়ারে নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

হেলিকপ্টার থেকে নামানো হচ্ছে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত কর্মকর্তাদের। গতকাল রাত পৌনে ১১টায় চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।  ছবি: সৌরভ দাশ
হেলিকপ্টার থেকে নামানো হচ্ছে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত কর্মকর্তাদের। গতকাল রাত পৌনে ১১টায় চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। ছবি: সৌরভ দাশ

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ব্রাশফায়ারে নিহত ছয়জনের ময়নাতদন্ত খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বাঘাইছড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাঘাইছড়ি থেকে সড়কপথে পুলিশ ও বিজিবির পাহারায় ছয়টি মরদেহ খাগড়াছড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ময়নাতদন্ত শুরু হয়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ময়নাতদন্ত শেষ হয়।

লাশের সঙ্গে আসা বাঘাইছড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লাশগুলো বাঘাইছড়ি নিয়ে স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এ ছাড়া গতকাল সোমবারের ঘটনার ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে সেনা, বিজিবি ও পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চলছে।

গতকাল নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে কেন্দ্র থেকে ফলাফল ও সরঞ্জাম নিয়ে ফেরার পথে বাঘাইছড়ি-দীঘিনালা সড়কের ৯ মাইল এলাকায় দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে ছয়জন নিহত এবং ২০ জনের বেশি আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল এবং আজ আরও দুজন মারা যান।

আজ খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে মরদেহের সঙ্গে যান কয়েকজন স্বজন। এ সময় খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলোর সন্ত্রাসীরা এ ঘটনার জন্য দায়ী। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারীদের ওপর হামলা করেছে তারা। এ জন্য অভিযান চলছে। পাশের জেলায় ঘটনা ঘটলেও খাগড়াছড়িতেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: