দৌলতদিয়া ঘাটের সেই গবাদিপশুর হাট উচ্ছেদ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে গবাদিপশুর সেই অবৈধ হাট উচ্ছেদ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ মঙ্গলবার উচ্ছেদের সঙ্গে জড়িত ঘাট ইজারাদার প্রতিষ্ঠান ও পাঁচ ট্রলার মালিককে ২২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী হাকিম ও গোয়ালন্দের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবদুল্লাহ আল-মামুন।

১২ মার্চ প্রথম আলোয় ‘ফেরি ঘাটে গবাদিপশুর অবৈধ হাট, গাড়ি ওঠানামা বিঘ্নিত’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরের দিন ১৩ মার্চ ‘ফেরিঘাটে পশুর হাট, বিআইডব্লিউটিএ কী করছে?’—শিরোনামে প্রথম আলো সম্পাদকীয় প্রকাশ করলে প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের টনক নড়ে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবায়েত হায়াত শিপলু দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল-মামুনকে নির্দেশ দেন। আজ দুপুরে আবদুল্লাহ আল-মামুনের নেতৃত্বে গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশ দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে গবাদিপশুর অবৈধ হাট উচ্ছেদে অভিযান চালান।

আজ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকালে জায়গার মালিক দাবিদার লোকজন পালিয়ে যান। ঘাটে থাকা গবাদিপশু বহনকারী পাঁচ ট্রলার মালিক বাবলু ব্যাপারী (৩৮), জহির উদ্দিন মন্ডল (৩৪), কালাম সরদার (৪০), ইদ্রিস মীর মালত (৬০) ও খবির মন্ডলকে (৫০) আটক করে। পরে তাদের প্রত্যেককে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ইজারাদারকে তলব করলে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক সুমন রায়হানকে (৩৮) ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রাতেই জরিমানার অর্থ পরিশোধের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবায়েত হায়াত শিপলু বলেন, বন্দর এলাকার জায়গার মালিক সরকার। বিআইডব্লিউটিএ শুধুমাত্র বন্দর ব্যবহারের জন্য ঘাটের ইজারা দিয়েছে। কিন্তু এটাকে কাজে লাগিয়ে সরকারি জায়গা ব্যক্তিমালিকানাধীন দাবি করে অবৈধভাবে গবাদিপশুর হাট বসিয়ে অর্থ আদায় এবং ব্যস্ততম ঘাটে ফেরিতে গাড়ি ওঠানামায় বিঘ্ন সৃষ্টি করার কোনো সুযোগ নেই। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দ্রুত হাট উচ্ছেদসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।