পিকআপভ্যান কেড়ে নিল ছোট্ট জান্নাতের পা

যশোরের শার্শা উপজেলায় পিকআপভ্যান চাপায় মিত্তাহুল জান্নাত (১০) নামের এক স্কুলছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। জান্নাতকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার একটি পা কেটে বাদ দেন চিকিৎসকেরা। আজ বুধবার সকালে শার্শার বুরুজবাগান পাইলট বিদ্যালয়ের ফটকের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জান্নাত বুরুজবাগান পাইলট বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। সে উপজেলার বুরুজবাগান গ্রামের শিক্ষক রফিকুল ইসলামের মেয়ে।

জান্নাতের দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে জান্নাতের সহপাঠীসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নাভারণ সাতীরা মোড়ে অবস্থান নিয়ে এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে যশোর-বেনাপোল ও যশোর-সাতীরা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ওই পিকআপভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, সকালে জান্নাত রিকশাভ্যানে করে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। ভ্যানটি বিদ্যালয়ের ফটকে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপভ্যান রিকশাভ্যানটিকে প্রচণ্ড জোরে আঘাত করে। এ সময় পিকআপভ্যানের একটি চাকা জান্নাতের পায়ের ওপরে উঠে যায়। চালক পিকআপভ্যান ফেলে পালিয়ে যান। গুরুতর আহত জান্নাতকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জান্নাতের ডান পা কেটে বাদ দেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জান্নাতের সহপাঠীরা নাভারণ মোড়ে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় চালকের ফেলে যাওয়া পিকআপভ্যানে আগুন লাগিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।