ইনজেকশন দেন সুইপার, টাকা না দিলে হেনস্তা

>

• হাসপাতালের সেবা নিয়ে নানা অভিযোগ রোগীর স্বজনদের
• প্রতিটি ওয়ার্ডেই আছে দালালদের দৌরাত্ম্য
• সুইপার ইনজেকশন দেন রোগীকে

সুইপার ইনজেকশন দেন রোগীকে। আবার হাসপাতালে ঢোকার সময় টাকা না দিলে শিকার হতে হয় হেনস্তার। তা ছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডেই আছে দালালদের দৌরাত্ম্য। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে সেবা নিয়ে এসব অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনেরা।

গতকাল বুধবার সকালে হাসপাতালের নিচতলায় ন্যায্যমূল্যের দোকানের সামনে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় হাসপাতালের উপপরিচালক আখতারুল ইসলামসহ জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।

শুনানিতে কোহিনুর আকতার নামে রোগীর এক স্বজন অভিযোগ করে বলেন, গত শনিবার দুপুরে চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগে তাঁর মা শাকেরা বেগমকে ভর্তি করান। ভর্তির দিন মহিউদ্দিনকে ওয়ার্ডের মেঝে পরিষ্কার করতে দেখেন। এরপর সোমবার দুপুরে তিনি তাঁর মায়ের হাতে ইনজেকশন পুশ করেন। এতে রোগীর হাত ফুলে যায়।

ওয়াহিদুল আলম নামে আরেক স্বজন আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ওষুধ দিতে গেলে গেটম্যানের দায়িত্ব পালনকারী আনসার সদস্য টাকা ছাড়া প্রবেশে বাধা দেন। টাকা না দেওয়ায় হেনস্তা করা হয়।

এ ছাড়া গেটম্যান টাকা ছাড়া ঢুকতে দেন না বলেও দুজন অভিযোগ করেন। এ সময় কয়েকজন স্বজন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের যাতায়াত বন্ধ করার দাবি জানান।

স্বজনদের অভিযোগ প্রসঙ্গে উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম বলেন, অভিযোগগুলো তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে হাসপাতালের স্পেশাল আয়াদের হাসপাতাল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। হাসপাতালের সেবার মান বাড়াতে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে শুনানিতে অভিযুক্ত সুইপারকে হাসপাতালে আসতে নিষেধ করা হয় বলে জানান ওয়ার্ড মাস্টার রাজীব কুমার দে। তিনি বলেন, আজম নামের ওই সুইপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর তাঁকে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। এই সুইপারকে আগেই বাদ দেওয়া হয়েছিল। তারপরও লোকবল–সংকটের কারণে জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকেরা ব্যক্তিগত কাজে লাগাতেন।