পদ্মা সেতুতে বসল ৯ নম্বর স্প্যান

পদ্মা সেতুর আরেকটি স্প্যান বসানো হলো। ছবি: সংগৃহীত
পদ্মা সেতুর আরেকটি স্প্যান বসানো হলো। ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা সেতুর ৩৫ ও ৩৪ নম্বর পিলারের ওপর আজ শুক্রবার আরেকটি স্প্যান বসানো হয়েছে। এ নিয়ে পদ্মা নদীতে নির্মাণাধীন সেতুর মোট ৯টি স্প্যান বসানো হলো।

পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্র বলছে, সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে স্প্যানটি বসানো হয়। এ নিয়ে পদ্মা সেতুর মোট ১ হাজার ৩৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো। ২৭ অথবা ২৮ মার্চ মাওয়া প্রান্তে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর আরও একটি স্প্যান বসানো হবে। এই দুটি নিয়ে মোট ১০টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবারই পদ্মা সেতুর ওপর এই স্প্যানটি বসানোর কথা ছিল। কারিগরি কিছু জটিলতার কারণে স্প্যানটি আজ বসানো হলো।

পদ্মা সেতুর প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, সেতুর স্প্যান বসানোর সঙ্গে সঙ্গে নকশা জটিলতা কাটানো পিলারগুলোর কাজও দ্রুত চলছে। তিনি বলেন, প্রতিদিনই অবশিষ্ট পিলারের পাইল বসানোর কাজ চলছে। আশা করা যায়, ৬, ৭ ও ৮ নম্বর পিলারগুলোর পাইল বসানোর কাজ শেষ করা যাবে। পদ্মা সেতুর প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, মূল পদ্মা সেতুর ৭২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি জাজিরা প্রান্তে ৩৬ ও ৩৫ নম্বর পিলারের ওপর পদ্মা সেতুর অষ্টম স্প্যান বসানো হয়।

এ নিয়ে ৯টি স্প্যান পদ্মা সেতুর ওপর বসানো হলো। ছবি: সংগৃহীত
এ নিয়ে ৯টি স্প্যান পদ্মা সেতুর ওপর বসানো হলো। ছবি: সংগৃহীত

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারে বসানো হয় দ্বিতীয় স্প্যান। গত বছরের ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের ওপর বসে তৃতীয় স্প্যান। ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের ওপর চতুর্থ স্প্যান বসানো হয়। ২৯ জুন সেতুর পঞ্চম স্প্যান বসানো হয় শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায়। এ বছরের ২৩ জানুয়ারি জাজিরা প্রান্তের তীরের দিকের ষষ্ঠ স্প্যান বসে। আর গত বছরের শেষ দিকে মাওয়া প্রান্তে ৪ ও ৫ নম্বর স্তম্ভের ওপর একমাত্র স্প্যানটি বসানো হয়।

বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওই বছরের ২৮ আগস্ট ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এসে রেলপথ সংযুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন করে। প্রকল্পের বর্তমান ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
মূল সেতু নির্মাণের দায়িত্বে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। আর নদী শাসনের কাজ করছে চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। দুই প্রান্তে টোল প্লাজা, সংযোগ সড়ক, অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।