'মাস্টার সেফ'কে জরিমানা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ জন শিক্ষার্থীকে খাবারের নামে অখাদ্য পরিবেশন করা রাজশাহীর সেই ‘মাস্টার শেফ’ রেস্তোরাঁকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। গত বুধবার অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ এই জরিমানা করেন।

১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার ছাত্রাবাসের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ৭০ জন শিক্ষার্থী হল সমাপনী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে এক নৈশভোজে যোগ দিতে মাস্টার শেফ রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন। খেতে বসে শিক্ষার্থীরা দেখেন, খাবারের প্লেটে দেওয়া মাংসের ভেতর তখনো রক্ত রয়ে গেছে। আবার যে কোমল পানীয় পরিবেশন করা হয়েছে সেটিরও মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে চার মাস আগে। পরিবেশিত খাবারের এই অবস্থা দেখে ওই শিক্ষার্থীরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেন। এ সময়ের মধ্যে রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক সটকে পড়েন। শিক্ষার্থীরা রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও তাঁর দেখা পাননি। রেস্তোরাঁর স্বত্বাধিকারী এস এম সিহাবও সেখানে যাননি।

এ ঘটনা নিয়ে পরদিন ১২ মার্চ প্রথম আলোতে ‘নামী রেস্তোরাঁতেও খাবারের নামে দেওয়া হচ্ছে অখাদ্য’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলামের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল অধিদপ্তরের কার্যালয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় রেস্তোরাঁটির স্বত্বাধিকারী এস এম সিহাব উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে এস এম সিহাবকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানা আদায় করা হয়। জরিমানার ২৫ শতাংশ হিসেবে আড়াই হাজার টাকা অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হয়।

হাসান আল মারুফ বলেন, ‘আমরা মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। অনেকেই জানেন না, কোনো ভোক্তা যদি কোনো পণ্য কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হন, তাহলে কোনো উকিল ছাড়াই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করে প্রতিকার পেতে পারেন। একই সঙ্গে নিয়মানুযায়ী অভিযোগকারীদের জরিমানার টাকার ২৫ শতাংশ পেতে পারেন।’