প্রকাশিত খবরের বিষয়ে র্যাব-৮ এর ব্যাখ্যা

‘গ্রেপ্তারের আট ঘণ্টা পর যুবকের মৃত্যু’ শিরোনামে গতকাল প্রথম আলোতে প্রকাশিত খবরের ব্যাখ্যা দিয়েছে র‌্যাব-৮ এর অধীন পটুয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার জ্যেষ্ঠ সহাকারী পুলিশ সুপার সোয়েব আহমেদ খান।

ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটায় নয়, রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টায় দশমিনা উপজেলার রমানাথ সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে শাকিল খান (২৮) নামে ওই যুবককে আটক করা হয়। তিনি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। আটকের সময় তাঁর কাছে থাকা অনেকগুলো ইয়াবা বড়ি মুখে পুরে খেয়ে ফেলে শাকিল। মূলত এর বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। প্রকাশিত খবরে শাকিলকে আটকের যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। ফলে সংবাদের শিরোনামে যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে তাও বিভ্রান্তিকর।

প্রথম আলোর বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় শাকিলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি তাঁর স্বজনদের দাবি ছিল। রাত সাড়ে নয়টায় তাকে আটকের যে তথ্য র‌্যাব দিয়েছে তাও প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল। 

পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে শাকিলের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র‌্যাব জানিয়েছে, আটকের পর ইয়াবা বড়ি খেয়ে অসুস্থ বোধ করলে রাত পৌনে ১১টার দিকে প্রথমে শাকিলকে বগা ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে রাত ১১টা ১০ মিনিটে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে তাঁকে ভর্তি করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা আখতারউজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, শাকিলকে ভর্তি করার সময় র‌্যাব সদস্যরা জানান, শাকিল অনেকগুলো ইয়াবা বড়ি খেয়ে ফেলেছে। শাকিল কথা বলতে না পারলেও ইয়াবা বড়ি খাওয়ার কথা মাথা নেড়ে স্বীকার করেন। পাকস্থলী ওয়াশের জন্য তাকে দ্রুত ওয়াশ রুমে নেওয়া হয়। তবে ওয়াশ করার আগেই তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে এই চিকিৎসক জানান।
শাকিলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি মামলা ছিল।