মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা

সৈয়দপুরের মিস্ত্রিপাড়ায় বাস করেন রিকশাচালক আসলাম। তাঁর বাসায় কয়েকজন আত্মীয় এসেছেন ঈশ্বরদী থেকে। তাঁদের জন্য বাজারে মুরগি কিনতে বাজারে গিয়ে বিপাকে পড়েন আসলাম। মুরগির দাম যে তাঁর নাগালের বাইরে।

এ অবস্থা শুধু আসলামের নন, সৈয়দপুর শহরের সব নিম্ন ও মাঝারি আয়ের মানুষের। নীলফামারীর এ উপজেলা শহরে মুরগির দাম গত ১৫ দিনের ব্যবধানে বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। এ সময়ে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা, সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। এক দিন বয়সী ব্রয়লারের বাচ্চার দাম বেড়েছে প্রায় ৭০ টাকা।

গতকাল শনিবার সরেজমিনে সৈয়দপুরের বড় রেলবাজার, গেট বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা কেজি দরে। আগে এ দাম ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৫৫ টাকা দরে, যা আগে ছিল ২১৫ থেকে ২২০ টাকার মধ্যে। লেয়ার মুরগি ২১০ থেকে ২২০ টাকা কর বিক্রি হচ্ছে। এর আগের দর ছিল ১৮০ টাকা। আর টার্কি বিক্রি হচ্ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে, এর কেজি ছিল ২২০ টাকা।

বড় রেলবাজারের ব্রয়লার মুরগির পাইকারি বিক্রেতা কাজী মতিয়ার রহমান বলেন, মূলত উৎপাদন ও আমদানি কম বলে মুরগির দাম বেড়েছে। তা ছাড়া প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দাম একটু চড়া থাকে। স্কুলে পিকনিক, বিয়েশাদি এই কয়েক মাসে বেশি হওয়ায় দাম বেড়ে যায়। ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় যদি একটি এক দিন বয়সী বাচ্চা কিনতে হয়, সেই বাচ্চাকে এক মাসের বেশি সময় লালন-পালন করে বিক্রি করলে যে দাম পাওয়া যায়, তাতে খামারিদের খুব বেশি লাভ হয় না। কিন্তু ভোক্তার পকেট থেকে ঠিকই অতিরিক্ত অর্থ বেরিয়ে যাচ্ছে।

একই বাজারের সোনালি মুরগির পাইকারি বিক্রেতা শমসের বলেন, সৈয়দপুরের বেশির ভাগ মুরগি জয়পুরহাট থেকে আমদানি হয়ে থাকে। জানুয়ারি মাস থেকে জয়পুরহাট থেকে ঢাকার ব্যবসায়ীরা প্রচুর মুরগি আমদানি করছেন। ফলে উত্তরবঙ্গে আমদানি কমে গেছে। এ কারণে মুরগির দামও বেড়ে গেছে এদিকে। এপ্রিল পর্যন্ত দাম কমার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই।

কথা হয় বাজারের খুচরা বিক্রেতা সেলিম, শাকিল, শামিম, সোহরাব ও বাদশার সঙ্গে। তাঁরা জানান, এখানে কেউ ইচ্ছা করে দাম বাড়াননি। উৎপাদন কম ও দক্ষিণ দিকে প্রচুর আমদানি বেড়ে যাওয়ায় এদিকে দাম বেড়েছে। তাঁরা কেবল ৫ থেকে ১০ টাকা লাভে মুরগি বিক্রি করে থাকেন।