মশক নিধনে শাহজালালে ক্রাশ প্রোগ্রাম

বিমানবন্দর এলাকায় গতকাল শুরু হয়েছে মশক নিধনের বিশেষ কর্মসূচি।  ছবি: সংগৃহীত
বিমানবন্দর এলাকায় গতকাল শুরু হয়েছে মশক নিধনের বিশেষ কর্মসূচি। ছবি: সংগৃহীত

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশার ঝাঁক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কর্মসূচি শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। গতকাল শনিবার বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনাল থেকে এই ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এই কর্মসূচি ২৬ মার্চ ও শুক্রবার ছাড়া ৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন চলবে। এ ছাড়া ডিএনসিসির অধীনে থাকা সবগুলো এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো হবে। প্রয়োজনে ক্রাশ প্রোগ্রামের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলে ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা গেছে।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির হাসান বলেন, গতকাল বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে বিমানবন্দর এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো হয়েছে। তবে অন্য সময় এর ভেতর মশা মারার দায়িত্ব বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের।
গতকাল ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খান, ডিএনসিসির সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক মিজানুর রহমান, ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম ফকির।
এর আগে শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় মশার উৎপাত নিয়ে প্রথম আলোতে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট সচিবসহ চার ব্যক্তির বরাবর আইনি নোটিশ পাঠালেও এর জবাব না পেয়ে ৩ মার্চ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ। ১২ মার্চ আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বিমান ও পর্যটনসচিব, বেসরকারি বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিমানবন্দর-সংলগ্ন ওয়ার্ড কমিশনারকে চার সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর ১০ দিন পর গতকাল বিমানবন্দরে ফগার মেশিনের মাধ্যমে ওষুধ ছিটিয়ে মশক নিধনের এই কর্মসূচি শুরু করল ডিএনসিসি।