'আকামা' তিন সেতুর কাহিনি

গিলুটিয়া : সড়ক এদিকে। ওই দূরে দেখা যায় সেতু। শাল্লা উপজেলার গিলুটিয়া এলাকায়।
গিলুটিয়া : সড়ক এদিকে। ওই দূরে দেখা যায় সেতু। শাল্লা উপজেলার গিলুটিয়া এলাকায়।

দিরাই-শাল্লা সড়ক। সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা শহরের সঙ্গে পাশের দিরাই উপজেলা শহরের যোগাযোগের একমাত্র উপায়। সড়কের তিনটি অংশে ২০১০ সালের দিকে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের উদ্যোগে তিনটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। চার বছর আগে এসব সেতুর নির্মাণকাজ শেষও হয়েছে। তবে সেতুগুলোর দুই পাশে সংযোগ সড়ক আর নির্মাণ করা হয়নি। ফলে আজ পর্যন্ত সেতুগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে। এখন সেতুর পাশ দিয়ে তৈরি করা বিকল্প রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। স্থানীয় লোকজনের কাছে তাই এগুলো ‘আকামা’ সেতু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এই তিনটি সেতুর অবস্থান শাল্লা উপজেলার সুখলাইন, আঙারুয়া ও গিলুটিয়া এলাকায়।

সুখলাইন : সড়ক আর সেতুর মিলন হতে হতেও হয়নি। উপজেলার সুখলাইন এলাকায়।
সুখলাইন : সড়ক আর সেতুর মিলন হতে হতেও হয়নি। উপজেলার সুখলাইন এলাকায়।

শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল-মুক্তাদির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক মাস আগে তিনি এই উপজেলায় যোগদান করেন। তখন পার্শ্ববর্তী দিরাই উপজেলা থেকে তিন বা চার চাকার কোনো যানবাহন নিয়ে সরাসরি শাল্লা শহরে আসা সম্ভব ছিল না। এরপর তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ‘কানেকটিং শাল্লা’ স্লোগান তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটি নির্মাণ শুরু করেন। এর অংশ হিসেবে ওই তিনটি সেতুর পাশ দিয়ে যান চলাচলের বিকল্প রাস্তাও নির্মাণ করা হয়। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর থেকে সরাসরি যানবাহন নিয়ে শাল্লা উপজেলা সদরে আসা সম্ভব হচ্ছে।

আঙারুয়া : সেতু পাশে রেখে চলাচল করছেন লোকজন। উপজেলার আঙারুয়া এলাকায়।
আঙারুয়া : সেতু পাশে রেখে চলাচল করছেন লোকজন। উপজেলার আঙারুয়া এলাকায়।