চুল কেটে গাছে বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতন

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় এক গৃহবধূর চুল কেটে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছবি: তৌহিদী হাসান
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় এক গৃহবধূর চুল কেটে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছবি: তৌহিদী হাসান

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় এক গৃহবধূর চুল কেটে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত ওই নারীকে ভেড়ামারা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ২৪ মার্চ এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

নির্যাতনের শিকার নারী নিজেই বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় একটি মামলা করেছেন। তবে ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি।

আজ বুধবার বিকেলে নির্যাতনের শিকার নারী ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। ওই গৃহবধূ বলেন, গত রোববার নিজ বাড়িতে বসে গল্প করছিলেন তাঁরা। এ সময় হঠাৎ করে তাঁর স্বামীকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন শ্বশুরবাড়ির কয়েকজন সদস্য। এরপর তাঁকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর টেনে-হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে বাড়ির সামনে শজনেগাছের সঙ্গে বেঁধে ৫ থেকে ৬ জন মিলে তাঁকে নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে তাঁর গায়ের কাপড়ও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক মিজানুর রহমান বলেন, ব্যথায় রোগী ঠিকমতো নড়াচড়া করতে পারছেন না। সুস্থ হতে কিছুদিন সময় লাগবে।

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম খন্দকার বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী অভিযোগ করেন, তাঁদের বিয়ে মেনে নিতে না পারায় তাঁর স্ত্রীকে নির্যাতন করা হয়েছে। এই ঘটনার বিচার দাবি করেছেন নির্যাতনের শিকার নারীর স্বজনেরা।