পাখি নামের ফুল

সবুজ পাতার আড়ালে বাদুড়ের মতো উল্টো হয়ে ঝুলে থাকে পাখি। তবে এই পাখি পক্ষীকূলের কেউ নয়, এটি একটি ফুলের নাম। পাখিফুলের বৈজ্ঞানিক নাম (Brownea Coccinea)। জন্মস্থান ভেনেজুয়েলায়। তাই এর প্রচলিত নাম রোজ অব ভেনেজুয়েলা। প্রজাতিটি গায়ানা, ভেনেজুয়েলা, ব্রাজিল এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর স্থানীয়। পাখি ফুল আমাদের দেশে বেশ দুর্লভ। জানা মতে, ঢাকার সবচেয়ে পুরোনো গাছটি আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের পাশে। বর্তমানে রমনা পার্ক, শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন পার্ক ও উদ্যানে নতুন কিছু গাছ লাগানো হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন ও মহেশখালীর আদিনাথ মন্দিরসহ চট্টগ্রামের বৌদ্ধ বিহারগুলোতেও এই গাছ চোখে পড়ে।

পাবনার শালগাড়িয়া হাসপাতাল সড়কের পাশে রয়েছে এই ফুলের গাছ। ২০০২ সালে ড. ইফতেখার মাহমুদ এই দুর্লভ ফুলগাছ নিজের বাসভবনে লাগান। পাবনায় পাখিফুলের একমাত্র এই গাছ দেখার জন্য অনেকেই এখানে আসেন।
পাবনার শালগাড়িয়া হাসপাতাল সড়কের পাশে রয়েছে এই ফুলের গাছ। ২০০২ সালে ড. ইফতেখার মাহমুদ এই দুর্লভ ফুলগাছ নিজের বাসভবনে লাগান। পাবনায় পাখিফুলের একমাত্র এই গাছ দেখার জন্য অনেকেই এখানে আসেন।
ফুল ফোটার অপেক্ষায়।
ফুল ফোটার অপেক্ষায়।
পারিজাত মান্দার নামের অপর একটি ফুল অনেক বছর ধরেই আমাদের প্রকৃতিতে আছে।
পারিজাত মান্দার নামের অপর একটি ফুল অনেক বছর ধরেই আমাদের প্রকৃতিতে আছে।
নিসর্গী বিপ্রদাশ বড়ুয়ার ‘গাছপালা তরুলতা ও নগরে নিসর্গ’ বইয়ে ফুলটিকে ‘পাখি ফুল’ (Brownea coccinea) নামেই উল্লেখ করা হয়েছে।
নিসর্গী বিপ্রদাশ বড়ুয়ার ‘গাছপালা তরুলতা ও নগরে নিসর্গ’ বইয়ে ফুলটিকে ‘পাখি ফুল’ (Brownea coccinea) নামেই উল্লেখ করা হয়েছে।
পাখিফুল মূলত চিরসবুজ গাছ, যা ৫ থেকে ১৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। কাণ্ড ও ডালপালার দিক থেকে এটি কিছুটা অশোক গাছের মতো। এ কারণে অনেকে ফুলটিকে বিলাতি অশোক বলেন।
পাখিফুল মূলত চিরসবুজ গাছ, যা ৫ থেকে ১৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। কাণ্ড ও ডালপালার দিক থেকে এটি কিছুটা অশোক গাছের মতো। এ কারণে অনেকে ফুলটিকে বিলাতি অশোক বলেন।
গাছের কচিপাতা পাখির লেজের মতো ঝুলে থাকে বলেই হয়তো ফুলটির নাম পাখিফুল।
গাছের কচিপাতা পাখির লেজের মতো ঝুলে থাকে বলেই হয়তো ফুলটির নাম পাখিফুল।
কুঁড়ি অবস্থায় এটি গুটি আকৃতির হয়। এই কুঁড়ি ফেটে একগুচ্ছ ফুলের কলি বেরিয়ে আসে। এরপর কলি থেকে পাপড়ি ছড়িয়ে পূর্ণ রূপ পায় ফুলটি।
কুঁড়ি অবস্থায় এটি গুটি আকৃতির হয়। এই কুঁড়ি ফেটে একগুচ্ছ ফুলের কলি বেরিয়ে আসে। এরপর কলি থেকে পাপড়ি ছড়িয়ে পূর্ণ রূপ পায় ফুলটি।
একসঙ্গে ৩০ থেকে ৪০টি ফুল রঙ্গনের মতো থোকা ধরে ফুটে থাকে। সব ফুল মিলিয়ে ফুলের যে গুচ্ছবদ্ধ রূপ, তাকেও একটি পরিপূর্ণ ফুল মনে হয়।
একসঙ্গে ৩০ থেকে ৪০টি ফুল রঙ্গনের মতো থোকা ধরে ফুটে থাকে। সব ফুল মিলিয়ে ফুলের যে গুচ্ছবদ্ধ রূপ, তাকেও একটি পরিপূর্ণ ফুল মনে হয়।
উজ্জ্বল লাল রঙের ফুলগুলো ফোটে বসন্তকালে। তবে এই ফুলের কোনো গন্ধ নেই।
উজ্জ্বল লাল রঙের ফুলগুলো ফোটে বসন্তকালে। তবে এই ফুলের কোনো গন্ধ নেই।