অব্যবস্থাপনায় বেশির ভাগ অবকাঠামো: এলজিআরডিমন্ত্রী

মো. তাজুল ইসলাম
মো. তাজুল ইসলাম

রাজধানীর গুলশান-১-এর ডিএনসিসি মার্কেটের পাশে কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক।

মন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা একসময় খুব গরিব মানুষ ছিলাম। দেশটির আর্থসামাজিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। অব্যবস্থাপনায় বেশির ভাগ অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে।’

আজ শনিবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ডিএনসিসি মার্কেট এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন এলজিআরডিমন্ত্রী।

তাজুল ইসলাম বলেছেন, দীর্ঘ ৩০ থেকে ৪০ বছরের পুরোনো এসব অবকাঠামো সুশৃঙ্খল ব্যবস্থায় নিয়ে আসার ব্যাপারে কোনো রকম নমনীয়তা দেখানোর সুযোগ নেই।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এই মার্কেটে এর আগেও একবার অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এখানে মার্কেট হওয়ার জন্য যেসব ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার, তার মধ্যে যথেষ্ট গাফিলতি আছে। এর আগে অগ্নিকাণ্ডের পর সরকার থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া হয়েছিল।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, এই মার্কেট ভেঙে একটি নতুন মার্কেট তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন আইনি জটিলতার সৃষ্টি করে এই কাজকে মন্থর করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আশা করেন, এখানে স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিশেষ করে দোকানের মালিক ও ভাড়াটে—সবার বোধোদয় হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে নীতিমালায় কী আছে, তা দেখা সাপেক্ষে সহযোগিতা করা হবে। এখানে পূর্ণাঙ্গ মার্কেট স্থাপনের বিষয়ে তিনি জানান, এটি অস্থায়ী মার্কেট। এটিকে পূর্ণাঙ্গ মার্কেটে রূপান্তর করার জন্য সিটি করপোরেশন আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

দেখভালের ঘাটতি আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এর আগে যেসব সুপারিশ ছিল, সেসব এখন থেকে বাস্তবায়ন না করা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে ১৮ তলা ভবন নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৮ তলা ভবনের জন্য টেন্ডার হয়েছে, আইনিগত জটিলতা ও কোর্টে কিছু বিষয় বিচারাধীন থাকার কারণে তা করা যাচ্ছে না। সরকার আদালতের বাইরে যাবে না।

আজ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগে যা হয়েছে, এখন কী করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করব আমরা। এখানে ২৯১টি দোকান আছে। দোকানের সংখ্যা কমে আসবে। আমরা চাই সুন্দর একটি পরিকল্পনা করতে।’

মেয়র আতিক বলেন, ফায়ার এক্সিট, ফায়ার আইল—এগুলো নির্মাণ করলে দোকানের সংখ্যা কমে যাবে। এখানে সবাইকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নতুন দোকান হলে মালিকেরা দোকান পাবেন, ভাড়াটেরা না। এমন অনেক ধরনের জটিলতা আছে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘কারওয়ান বাজার মার্কেটও ঝুঁকির মধ্যে আছে। অচিরেই ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটের তালিকা প্রকাশ করা হবে। আমাকে কয়েকটি দিন সময় দিন। কতগুলো এমন ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট ও বহুতল বিল্ডিং আছে, তা আমরা চিহ্নিত করব। অবশ্যই কিছু সহায়তা আমরা দেব।’