খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে বিএসএমএমইউতে

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আজ সোমবার আদালতে হাজির করা হয়নি। খালেদা জিয়া অসুস্থ বলে আদালতকে অবহিত করে কারা কর্তৃপক্ষ। খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে

এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সময় চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আগামী ১০ এপ্রিল মামলার শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই আদেশ দেন।

বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: দীপু মালাকার
বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: দীপু মালাকার

খালেদা জিয়াকে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আজ নাইকো মামলার শুনানি শেষে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় তাঁকে আজ আদালতে হাজির করা হয়নি। খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে রাজি হয়েছেন। খালেদা জিয়াকে আজই হাসপাতালে নেওয়া হবে।

খালেদার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। এ কারণে তাঁকে আজ আদালতে হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

গত ১৯ মার্চ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আদালতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সে দিন মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। আদালতে আসার আগে বমি করেছেন। মাথা সোজা রাখতে পারছেন না।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়া গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে।

খালেদা জিয়াকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে নেওয়া হয় কেবিন ব্লকের ছয় তলায়।
খালেদা জিয়াকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে নেওয়া হয় কেবিন ব্লকের ছয় তলায়।


নাইকো মামলার সারসংক্ষেপ
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাটি করে। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এই মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।

আসামিপক্ষ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে। হাইকোর্ট ওই বছরের ৯ জুলাই এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দেন।

প্রায় সাত বছর পর ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। পরে ওই বছরের ডিসেম্বরে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।