সীতাকুণ্ডে পাটকলশ্রমিকদের লাল পতাকা মিছিল

মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল কারখানা হাফিজ জুট মিলসের শ্রমিকেরা লাঠি-লাল পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। ছবি: প্রথম আলো
মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল কারখানা হাফিজ জুট মিলসের শ্রমিকেরা লাঠি-লাল পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। ছবি: প্রথম আলো

মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল কারখানা হাফিজ জুট মিলসের শ্রমিকেরা লাঠি-লাল পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। আজ সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শ্রমিকেরা কারখানা থেকে বেরিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিছিল করেন। মিছিলটি শীতলপুর চৌধুরীঘাটা ঘুরে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানা এলাকা হয়ে কারখানায় প্রবেশ করে। এ সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মিছিল শেষে কারখানার সামনে সভা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন শ্রমিকনেতারা।

সভায় বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও হাফিজ জুট মিলস সিবিএর সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, কাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করবেন তাঁরা। ওই দিন সকাল থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা কারখানায় তাঁরা ধর্মঘট পালন করবেন।

মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, শুধু তাঁদের কারখানায় নয়, সপ্তাহের মজুরি বাকি পড়েছে। সরকার মজুরি কমিশন ঘোষণা করলেও তা বাস্তবায়ন করছে না। শ্রমিকদের বঞ্চিত করে রেখেছে। আলোচনার পালা শেষ, এখন কঠোর আন্দোলন করবেন তাঁরা।

আজ কারখানায় উপস্থিত শিল্প পুলিশ চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকেরা মহাসড়কে এক ঘণ্টা মিছিল করেছেন। তাঁদের মিছিল ছিল শান্তিপূর্ণ।

হাফিজ জুট মিলসের প্রকল্প প্রধান ও উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এ কে হাজারী বলেন, শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করা যায়, অচিরেই শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান হবে।

এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে শিল্প পুলিশ চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠকে শ্রমিকনেতারা তাঁদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। এ সময় তাঁরা তাঁদের কর্মসূচিও জানিয়ে দেন।

ওই বৈঠকের ব্যাপারে জানতে চাইলে শিল্প পুলিশ চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার উত্তম কুমার পাল প্রথম আলোকে বলেন, মিছিল করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলার যেন অবনতি না হয়, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, এমনকি মানুষকে যেন কষ্ট দেওয়া না হয়, সে বিষয়ে শ্রমিকনেতাদের বৈঠকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি।