অছাত্র বিতাড়নের দাবিতে বিক্ষোভ

অছাত্র ও বহিরাগতদের হল থেকে বিতাড়নের দাবিতে গত রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এস এম) হলে বিক্ষোভ হয়েছে। হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ওই বিক্ষোভে সংহতি জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসেন। বিক্ষোভের মুখে রোববার রাতেই অছাত্রদের এবং তিন দিনের মধ্যে বহিরাগতদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় হল প্রশাসন। আবাসন-সংকট দূর করতে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে টিনশেড ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়।

বিক্ষোভের খবর পেয়ে রোববার রাতে এস এম হলে যান ডাকসুর ভিপি, জিএস ও এজিএস। এ ছাড়া সেখানে উপস্থিত হন এস এম হল সংসদের ভিপি এস এম কামাল উদ্দিন ও জিএস জুলিয়াস সিজার তালুকদার। পরে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, বোববার সন্ধ্যায় বাতাসের প্রচণ্ড ঝাপটা ও বৃষ্টিতে হলের বারান্দায় থাকা শিক্ষার্থীদের বইপত্র ও ব্যবহৃত জিনিসপত্র নষ্ট হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা হলের টিভি কক্ষে জড়ো হন। হলের আবাসিকতার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের হল ছাড়ার দাবিতে সেখানে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। এ সময় তাঁরা হলে বৈধ আসনের দাবি জানান। খবর পেয়ে ডাকসু ও হল সংসদের নেতা এবং হল প্রাধ্যক্ষ সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি শোনেন।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে হল প্রাধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার বলেন, হল সংসদের প্রথম সভার পর আমরা ছাত্রত্ব না থাকা শিক্ষার্থীদের ১৫ দিনের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছি। সেই নির্দেশের আর তিন দিন বাকি। তবে শিক্ষার্থীরা চাইলে এই মুহূর্ত থেকেই অছাত্র ও বহিরাগতদের হল ছাড়তে বাধ্য করা হবে। এ সময় হলের বারান্দায় থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য হলের ক্যানটিনের পাশে টিনশেড নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

রোববার রাতের মধ্যেই বহিরাগত ও অছাত্রদের চিহ্নিত করার দাবি জানিয়ে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক বলেন, হলের একজন শিক্ষার্থীকেও যেন বারান্দায় থাকতে না হয়। সিট–সংকটের কারণে চারজনের কক্ষে প্রয়োজন হলে ছয়জন রাখা যেতে পারে।

বহিরাগত ও অছাত্রদের হল ছাড়ার দাবি জানিয়ে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে কেউ অবৈধভাবে সিট দখল করে হলে থাকলে তা মেনে নেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীদের কক্ষভিত্তিক তালিকা করে নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দিতে হবে।

বক্তব্যের পর ডাকসুর ভিপি, জিএস, এজিএস ও হল সংসদের নেতারা বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে এস এম হলের কক্ষগুলোতে ‘বহিরাগত ও অছাত্র বিতাড়ন অভিযান’ চালান। অভিযানে অছাত্র ও বহিরাগতরা অবস্থান করছেন, এমন ১৩২টি আসন চিহ্নিত করা হয়। শিগগিরই হলের বারান্দায় থাকা বৈধ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে আসনগুলো বণ্টন করা হবে বলে হল সংসদ সূত্রে জানা গেছে।