মদ উদ্ধারের মামলায় শামীম ওসমানের শ্যালকের নাম

ভাসমান রেস্তোরাঁ মেরি অ্যান্ডারসন। ফাইল ছবি
ভাসমান রেস্তোরাঁ মেরি অ্যান্ডারসন। ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পাগলায় ভাসমান রেস্তোরাঁ মেরি অ্যান্ডারসন থেকে মদসহ ৭০ জনকে আটকের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় আওয়ামী লীগের সাংসদ শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহাম্মেদ ওরফে টিটুর নামও আছে।

গত সোমবার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবাস চন্দ্র সাহার নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ মেরি অ্যান্ডারসন জাহাজে অভিযান চালায়। এ সময় মদ বিক্রেতাসহ ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ৮১ কার্টন বিদেশি বিয়ার, ৪ কার্টন বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে মাদক বিক্রির ৪৮ হাজার টাকা।

এই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রকাশ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। এতে আটক ৭০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, বারের মালিক সঞ্জয় রায় জনৈক তানভীর আহাম্মদ টিটুর সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ ক্লাবসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে জাহাজে রেখে মাদক ব্যবসা করে আসছেন। এতে উঠতি বয়সের যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে ধাবিত হচ্ছে।

তানভীর আহাম্মেদ টিটু নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের শ্যালক।

মামলায় সঞ্জয় রায় ও তানভীর আহাম্মদের নাম থাকলেও আসামির তালিকায় তাঁদের নাম নেই।

গতকাল দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযানকালে উদ্ধার করা মদের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি আসামিরা। তা ছাড়া যাঁরা মদ পান করছিলেন, তাঁরা মদপানের কোনো পারমিট দেখাতে পারেননি।

মামলায় নাম থাকার বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তানভীর আহাম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের টিম নিয়ে থাইল্যান্ডে খেলতে এসেছি। বিষয়টি আমি শুনেছি। মেরি অ্যান্ডারসনের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। সেই সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে আমার কোনো ব্যবসায়িক লেনদেনও নেই। অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মো. হান্নান হাওলাদার (৩১), রেজাউল করিম (৫০), মনসুর আহমেদ (৩৫), মো. কবির (৩৩), মামুন (৪৭), কাওসার আহমেদ (১৯), আবদুর রাজ্জাক (৩৮), মো. হারুন (২১), ফিরোজ মোস্তাফিজ (৪৭), মোক্তার হোসেন (২৬), মিঠু (২৪), মো. আমজাদ (২০), শুভ (১৮), উথোইচিং মারমা (২২), জিয়াউর রহমান (২৮), মো. সুমন (২৭), শেখ নয়ন (২২), হাসিবুল (৪০), শেখ জনি (২৮), হিমেল রোজারিও (২০), মো. শাকিল হোসেন (২৩), সাইফুল ইসলাম ওরফে রকি (২৯), সবুজ (২২), পংকজ (২০), রফিকুল ইসলাম (৪০)।