ঝড়ে গাছের ডাল পড়ে শিশুর মৃত্যু

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের নাড়িবাড়ি এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার কালবৈশাখী ঝড়ে সড়কের একটি গাছ উপড়ে বাড়ির ওপর পড়ে। ছবি: আনিসুর রহমান
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের নাড়িবাড়ি এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার কালবৈশাখী ঝড়ে সড়কের একটি গাছ উপড়ে বাড়ির ওপর পড়ে। ছবি: আনিসুর রহমান

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলায় বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ের সময় আম কুড়াতে গিয়ে সাত বছরের মেয়েশিশুটির মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

নিহত শিশুটির নাম সাথি (৭)। সে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের মজনু আলীর মেয়ে। সে স্থানীয় সরকারি বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

গতকালের ঝড়ে আম, লিচু, ভুট্টাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ–সংযোগ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল রাত থেকে আজ বুধবার দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শেষ বিকেলে ঝড় শুরু হয়। ঝড় উপেক্ষা করে আম কুড়াতে গেলে শিশু সাথির ওপর একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। এতে সাথির মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আজ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত সাথির পরিবারকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ সময় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবদুল হান্নান ও নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শওকত রানা উপস্থিত ছিলেন।

ঝড়ে ফসলের ক্ষতির তথ্য জানিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুল করিম বলেন, ঝড়ে আম-লিচুর গুটি ঝরে পড়াসহ উঠতি ভুট্টার আবাদের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

বিদ্যুৎ–সংযোগ চালু করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (গুরুদাসপুর)–এর উপমহাব্যবস্থাপক মো. মোহিতুল ইসলাম বলেন, ঝড়ের কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাঁচটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ে ও বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। এতে গতকাল বিকেল থেকে উপজেলা এলাকায় বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।