বিমানের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওএসডি

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুই ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) দপ্তরে সংযুক্ত বা ওএসডি করেছে কর্তৃপক্ষ। তাঁরা হলেন বিপণন ও বিক্রয় শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আশরাফুল আলম এবং উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম কমার্শিয়াল) শফিকুল ইসলাম।

আজ বুধবার দুপুরে বিমানের এক দাপ্তরিক আদেশে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিমানের প্রশাসন শাখা থেকে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার পরিচালনা পর্ষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল এই দাপ্তরিক আদেশ জারি করা হয়েছে।

বিমান সূত্র জানায়, ডিজিএম শফিকুল ইসলাম চার বছর বিমানের যুক্তরাজ্যের কান্ট্রি ম্যানেজার ছিলেন। তিনি সম্প্রতি ঢাকায় বদলি হয়ে আসেন। তিনি যুক্তরাজ্যে থাকা অবস্থায় সেখান থেকে ২ হাজার ৪৭২টি বিনা মূল্যের টিকিট ইস্যু করা হয়। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাসের টিকিট ছিল ১ হাজার ১৩৬টি এবং ইকোনমি ক্লাসের ছিল ১ হাজার ৩৩৬টি। এসব টিকিটের মূল্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা। এ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া লন্ডন থেকে বিমানে পণ্য (কার্গো) পরিবহনেও অনিয়মের অভিযোগ আছে।

আর বিপণন ও বিক্রয় শাখার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আশরাফুল আলম ভারপ্রাপ্ত পরিচালক থাকা অবস্থায় তিনি বিমান মনোনীত কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সিকে সিট ব্লক করে বিশেষ সুবিধা দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এই ‘বিশেষ সুবিধাকে’ আর্থিক অনিয়ম মানতে নারাজ বিপণন শাখার কর্মকর্তারা। তাঁদের মতে, অনেক সময় বড় গ্রুপের যাত্রী থাকে। ব্যবসায়িক স্বার্থে ট্রাভেল এজেন্সির চাহিদার কারণে অনেক সময় সিট ব্লক করতে হয়।

অভিযোগের বিষয়ে দুই কর্মকর্তার কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বিমানের লন্ডন স্টেশনে বিনা মূল্যের টিকিট ইস্যু ছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি খাতে দুর্নীতি অভিযোগ এসেছে, সেগুলো তদন্ত করা হবে।

এদিকে বিমানের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, ভারপ্রাপ্ত পরিচালককে ওএসডি করার পর বিমানের বিপণন ও বিক্রয় শাখার পরিচালক ও জিএম দুটি পদই শূন্য হয়েছে। এর মধ্যে পরিচালক পদ অনেক দিন ধরেই শূন্য। সামনে হজ ফ্লাইট পরিকল্পনা ও সেটা ঠিকভাবে করার মতো পর্যাপ্ত কর্মকর্তাও এখন এই শাখায় নেই। কেবল একজন ডিজিএম আছেন, যাঁর এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা আছে।

আজ জারি করা বিমানের প্রশাসনিক আদেশে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিপণন ও বিক্রয় শাখার দায়িত্ব এমডির কাছে ন্যস্ত থাকবে।