পিরোজপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১

পিরোজপুরের সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহম্মদ উল্লাহ মোল্লা (২১) ও মারুফ মোল্লা (১৯) নামের দুজনকে আসামি করে মামলা করেন মেয়েটির বাবা। মারুফ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও মেয়েটির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর প্রতিবেশী আহম্মদ উল্লাহ মোল্লা তাকে উত্ত্যক্ত করতেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেয়েটি ঘরে পড়াশোনা করছিল। এ সময় মেয়েটির মা বাড়ির সামনে তাঁর চায়ের দোকানে ছিলেন। বাবা ও ভাই বাড়িতে ছিলেন না। মেয়েটিকে একা পেয়ে আহম্মদ উল্লাহ জোর করে ঘর থেকে তুলে বাড়ির পেছনে বাগানে নিয়ে যান। এরপর মেয়েটির মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ধর্ষণ করেন। এ সময় আহম্মদ উল্লাহকে সহযোগিতা করেন মারুফ মোল্লা। মেয়ের মা রাত আটটার দিকে বাড়ির পেছনে মুখ বাঁধা অচেতন অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পান।

মেয়েটিকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ওই রাতে পিরোজপুরের সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ শেখ এ্যানি রহমান ও পিরোজপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন হাসপাতালে তাকে দেখতে যান।

পিরোজপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মৌসুমী সুলতানা বলেন, মেয়েটি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ধর্ষণের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক বলেন, আজ বুধবার দুপুরে পিরোজপুরের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছে পুলিশ। মারুফ মোল্লা নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আহম্মদ উল্লাহকে গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।