পা পিছলে নদীতে পড়া তরুণের লাশ উদ্ধার

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের পন্টুন থেকে পা পিছলে পদ্মা নদীতে পড়ে নিখোঁজ থাকা তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ৩ নম্বর ঘাটের পন্টুনের নিচ থেকে ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

মারা যাওয়া তরুণের নাম মেহেদী হাসান রকি। তিনি সদর উপজেলার আদিত্যপুর গ্রামের মিজান ব্যাপারীর ছেলে।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মেহেদী কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াগামী একটি ফেরিতে উঠতে গিয়ে পন্টুন থেকে পা পিছলে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন।

কাঁঠালবাড়ি ঘাট সূত্র জানায়, বরিশালে খালাবাড়িতে বেড়ানো শেষে খালাতো ভাই আরিফের সঙ্গে ঢাকায় ফিরছিলেন মেহেদী। তাঁকে বহন করা যাত্রীবাহী বাসটি মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটে ফেরির জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় রকি ও অন্য বেশ কয়েকজন যাত্রী বাস থেকে নেমে পড়েন। কিছুক্ষণ পরে বাসটি ফেরিতে উঠে যায়। মেহেদী তাড়াহুড়ো করে ঘাট থেকে ফেরিতে ওঠার সময় পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যান। পরে ঘাটের কর্মীরা অনেক সময় ধরে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। আজ সকালে শিবচর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। সকাল ৮টা থেকে ডুবুরি দল পদ্মা নদীর বিভিন্ন অংশে অভিযান চালায়। ১০টার দিকে ফেরিঘাটের পন্টুনের নিচ থেকে মেহেদীর লাশটি উদ্ধার হয়।

কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন মিয়া বলেন, ‘মেহেদী পন্টুন থেকে পা পিছলে নদীতে পড়ে গিয়েছিলেন। আমরা তাৎক্ষণিক তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাই। কিন্তু তাঁকে খুঁজে না পাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দিই। পরে তারা তাঁর লাশ উদ্ধার করে।’

শিবচর থানার কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, ‘ওই তরুণের লাশ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা ওই তরুণের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি।’