ক্রিকেটার হয়ে ওঠার গল্প শোনালেন মুশফিক

মাটিডালি ক্রীড়াচক্র টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় বিজয়ী দলকে পুরস্কার হিসেবে গরু দেওয়া হয়। ওই পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম।
মাটিডালি ক্রীড়াচক্র টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় বিজয়ী দলকে পুরস্কার হিসেবে গরু দেওয়া হয়। ওই পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম।

বিকেএসপিতে ভর্তির আগে ২০০০ সাল পর্যন্ত ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের অনুশীলন, ক্লাব পর্যায়ে খেলা আর আড্ডা সবকিছুই ছিল বগুড়ার ‘মাটিডালি ক্রীড়া চক্র’কে ঘিরে। ১৯৯৮ সালে ওই ক্রীড়া চক্রের হয়েই শিকারপুর স্কুলমাঠে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়কের। ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম হয়ে ওঠার পেছনে এই মাটিডালি ক্রীড়া চক্রের ভূমিকা ছিল অনবদ্য।

সেই প্রিয় ক্লাব মাটিডালি ক্রীড়া চক্রের প্রতি ভালোবাসার টানেই বৃহস্পতিবার ক্লাব মাঠে হাজির হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। তবে ব্যাট-বল হাতে নয়, এসেছিলেন মাটিডালি ক্রীড়া চক্র আয়োজিত টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে। দর্শক আসনে বসে পুরোটা ম্যাচ দেখার পাশাপাশি পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি। প্রিয় তারকাকে এভাবে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন দর্শক, খেলোয়াড় এবং আয়োজকেরা।

ফাইনালে মাটিডালি সুপার কিংসকে ছয় উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ঝোপগাড়ি স্পোর্টিং ক্লাব।

শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত প্রিয় ক্লাব মাঠে টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন মুশফিকুর রহিম। পুরস্কার বিতরণের আগে তিনি তাঁর প্রিয় ক্লাব আর প্রিয় মাঠকে ঘিরে নানা স্মৃতি তুলে ধরেন। শোনান ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম হয়ে ওঠার গল্প।