আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করার আহ্বান

উপাচার্য সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিসহ অন্যরা। গতকাল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে।  ছবি: বিজ্ঞপ্তি
উপাচার্য সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিসহ অন্যরা। গতকাল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ ও ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের কাজ করতে হবে। সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উপাচার্যদের প্রথম সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে উভয় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ জন্য উপাচার্য অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপু মনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বিশেষত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও প্রকৃতি প্রায় কাছাকাছি। এ কারণে এ অঞ্চলের মানুষকে গভীর বন্ধনে আবদ্ধ ও দুই দেশকে যুক্ত করেছে। সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদের পাশাপাশি এখানকার সামাজিক মূল সমস্যা দারিদ্র্য ও বৈষম্য। দারিদ্র্য দূর করতে দুই দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বৈষম্য দূর করে সবাইকে নিয়ে চিন্তায়, জ্ঞান-বিজ্ঞানে, নতুন পথ তৈরি করে একসঙ্গে চলতে হবে।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলনের সদস্যসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, ভারতের গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মৃদুল হাজারিকা এবং মেঘালয় ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির আচার্য মাহবুবুল হক। অন্যান্যের মধ্যে সম্মেলনের আহ্বায়ক আবুল মুকিত মো. মোকাদ্দেস বক্তব্য দেন।

গতকাল সকাল ১০টার দিকে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অব ভাইস চ্যান্সেলরস’ শিরোনামে এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। শিক্ষামন্ত্রীর উদ্বোধন ঘোষণার পর বেলা আড়াইটা পর্যন্ত উপাচার্যদের সম্মেলন চলে। এতে বাংলাদেশের আটটি ও ভারতের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও আচার্য অংশ দেন। বিকেলে উপাচার্য সম্মেলন শেষে যৌথ ঘোষণা করেন অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটগুলোর মধ্যে উচ্চশিক্ষা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক যোগাযোগ এ সহযোগিতা বাড়াতে হবে। এর মাধ্যমে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অবদান রাখা হবে।