৭০০ টাকার জন্য গলা কেটে হত্যা!

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাবুলের কাছ থেকে ধার হিসেবে ৭০০ টাকা নিয়েছিলেন শাজাহান। কিন্তু সময়মতো টাকা পরিশোধ করতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে বাবুল ও শাজাহানের মধ্যে বিরোধ হয়। বিরোধের সূত্র ধরে বাবুল কৌশলে শাজাহানকে একটি ডোবার কাছে নিয়ে গিয়ে প্রথমে তাঁকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। এরপর তাঁর মাথা কেটে পুঁতে ফেলেন ডোবায়।

ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায়। গত ৩১ মার্চ শাজাহান (২১) নামের এক ব্যক্তির মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পরে শাজাহানের ভাই মো. ইসলাম বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটির তদন্তের ভার পড়ে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওপর। দায়িত্ব পাওয়ার পরে ডিবি পুলিশ সন্দেহজনক হিসেবে বাবুলকে (২৫) আটক করে। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্য মারফত ডোবা থেকে শাজাহানের কাটা মাথা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে শাজাহানকে হত্যার বিস্তারিত জানিয়েছে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার শাহ মো. আবিদ হোসেন বলেন, নিহত শাজাহানের বাড়ি মুক্তাগাছা উপজেলার গড়বাজাইল গ্রামে। তিনি ভ্যান চালাতেন। গত ৩১ মার্চ সকালে উপজেলার বানিয়া কাজী গ্রামের একটি ডোবায় একটি লাশ পড়ে আছে—এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নেয়। সেখানে নিহত ব্যক্তির পরিবার লাশটি শনাক্ত করে। এরপর গতকাল শনিবার সন্দেহজনক আসামি হিসেবে একই গ্রামের বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শাজাহানকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন বাবুল।

ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার জানান, বাবুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গতকাল রাতে বানিয়া কাজী গ্রামের ওই ডোবা থেকে নিহত শাজাহানের মাথা উদ্ধার করা হয়। আসামি বাবুল মিয়াকে আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।