আইন কমিশনের গাড়িচালকের ৪ বছর কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড এক কোটি টাকা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

অর্থ পাচার মামলায় আইন কমিশনের গাড়িচালক এস এম শামসুল আলমকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এই আসামিকে ১ কোটি ৪০ লাখ ২৭ হাজার ৭২৭ টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫–এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এই আদেশ দেন।

রায়ে আদালত বলেছেন, আসামি এস এম শামসুল আলমের সব ধরনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হলো।

রায় ঘোষণার পর আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ হিসেবে ৭১ লাখ ১৮ হাজার ১৫০ টাকা নেওয়ার অভিযোগে আইন কমিশনের গাড়িচালক এস এম শামসুল আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১৪ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করে। মামলায় বলা হয়, চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আসামি শামসুল অবৈধ অর্থ উপার্জন করার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনটি ব্যাংক হিসাব খোলেন। ওই তিন ব্যাংক হিসাবে লাখ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে, একজন নিম্ন বেতনভোগী কর্মচারীর ক্ষেত্রে যা অস্বাভাবিক। কাউকে চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা আসামির নেই।

তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই আসামি শামসুল আলমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। অভিযোগপত্রে বলছে, শামসুল আইন কমিশনের গাড়িচালক হিসেবে ১৯৯৩ সালে যোগ দেন। চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় তাঁর বেতন ছিল ১ হাজার ২০০ টাকা। আইন কমিশনে চালক হিসেবে কর্মরত থেকে অসাধু উপায়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ঘুষ নিতেন তিনি। তিনটি ব্যাংক হিসাবে এই টাকা গ্রহণ করতেন। এই টাকা স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে অর্থ পাচার আইনের অপরাধ করেছেন। গত বছরের ২১ জুন আসামি এস এম শামসুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। দুদকের পক্ষ থেকে সাতজন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।