দৌলতদিয়ায় ফেরির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবল ট্রলার, মাঝি নিখোঁজ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরি ঘাটের কাছে ফেরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাছ ধরার একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এতে ট্রলারের মাঝি নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শাপলা-শালুক নামের ইউটিলিটি ফেরির সঙ্গে ট্রলারের ধাক্কা লাগার এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ মাঝির নাম ফরিদ হোসেন (৩২)। তিনি দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বাহির চর সাত্তার মেম্বার পাড়ার ছবেদ শেখের ছেলে।

দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, সরু চ্যানেলে ইউটিলিটি ফেরির কাছ দিয়ে ট্রলারটি দ্রুত যাচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। এতে ট্রলারের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে তা সজোরে ফেরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ডুবে যাওয়া ট্রলারে তিনজন ছিলেন। এর মধ্যে দুজন সাঁতরে পানি থেকে উঠতে সক্ষম হলেও মাঝি ফরিদ হোসেনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, গতকাল বিকেলে পাটুরিয়া ঘাট থেকে যাত্রী ও যানবাহন বোঝাই করে শাপলা-শালুক ফেরিটি সরু চ্যানেল দিয়ে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরি ঘাটে ভেড়ার চেষ্টা করছিল। এ সময় ওই চ্যানেল দিয়ে বিপরীত দিক থেকে মাছ ধরার একটি ট্রলার দ্রুত ১ নম্বর ঘাট থেকে বের হয়ে চ্যানেল দিয়ে নদীর দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। পথে হঠাৎ ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে ট্রলারটি শাপলা-শালুক ফেরিটির সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে ট্রলারটি উল্টে গেলে ট্রলারে থাকা তিনজন ছিটকে পানিতে পড়েন। এর মধ্যে দুজন সাঁতরে পানি থেকে ওপরে উঠতে পারলেও ট্রলারের মাঝি ফরিদ হোসেন উঠতে পারেননি।
খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি দল ঘটনাস্থলে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সন্ধান চালায়। স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় নদীতে জাল ফেলে নিখোঁজ ফরিদ হোসেনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা আবদুর রহমান আজ মঙ্গলবার সকালে মুঠোফোনে জানান, তাঁর নেতৃত্বে গতকাল সন্ধ্যার আগ থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। কিন্তু কোনো সফলতা পাওয়া যায়নি। আজ সকাল থেকে ফের অনুসন্ধান চালানো হবে। এ ছাড়া ঢাকা থেকে একটি ডুবুরি দল চাওয়া হয়েছে। তাঁরা আসলে উদ্ধার কাজে আরও গতি আসবে।