ছাত্রলীগ নেতার হাতের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হাসান ওরফে সবুজের হাতের রগ যুবলীগের নেতা-কর্মীরা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের পাঁচাইখা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় নাজমুলদের বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।

আহত নাজমুল হাসান রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নাজমুল হাসানের বড় ভাই রাসেল মিয়া জানান, তাঁর ছোট ভাই নাজমুল স্থানীয় মনির মেম্বারের একটি জলাশয়ে বালু ভরাটের কাজ করছিলেন। গতকাল সকালে এই কাজে বাধা দিয়ে চাঁদা দাবি করেন উপজেলা যুবলীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক বাচ্চু মিয়া। সন্ধ্যায় নাজমুল বাড়ি ফিরে বাচ্চুর ছেলে ইমরানের কাছে কাজে বাধা দেওয়ার কারণ জানতে চান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এই ঘটনার জেরে রাত পৌনে আটটার দিকে বাচ্চুর নেতৃত্বে তাঁর ছেলে ইমরানসহ ১০ থেকে ১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাজমুলের বাঁ হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়। এ সময় নাজমুলের ভাই মানিক ও জাহিদুল এবং বড় ভাইয়ের স্ত্রী মমতাজ এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা তাঁদেরও পিটিয়ে এবং কুপিয়ে জখম করে। পরে আহত নাজমুলকে উদ্ধার করে প্রথমে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। হামলাকারীরা নগদ টাকাসহ অন্তত সাত লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে বলে অভিযোগে বলা হয়।

এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা বাচ্চু মিয়ার ছেলে ইমরান হোসেন বলেন, ‘সবুজ (নাজমুল) দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কাউকে কিছু না বলে মানুষের জমির ওপর দিয়ে বালুর পাইপলাইন স্থাপন করছিল। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে খারাপ ব্যবহার করে এবং আমাদের লোকজনের সঙ্গে ঝগড়া করে। তার লোকজন আমার ছোট ভাইয়ের হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। সে বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ছাত্রলীগ নেতা নাজমুলকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। হামলাকারীরা এলাকাছাড়া। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।