ভৈরবে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' একজন নিহত

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই উপপরিদর্শকসহ (এসআই) ভৈরব থানা-পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের চাঁনপুর সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, নিহত ব্যক্তির নাম মহরম মিয়া (৩৫)। তাঁর বাড়ি পৌর শহরের কালিপুর এলাকায়। তাঁর বিরুদ্ধে ভৈরবসহ আশপাশের থানায় ডাকাতি ও খুনসহ অন্তত এক ডজন মামলা আছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি দেশীয় অস্ত্র, পাঁচটি গুলি, দুটি রাম দা, একটি চাপাতি, ২৫ বোতল ফেনসিডিল ও ১০০টি ইয়াবা উদ্ধার করে।

পুলিশের ভাষ্য, গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকটি চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে অপরাধ দমনে পুলিশ সক্রিয় হয়। গতকাল রাতে খবর আসে একদল ডাকাত চাঁনপুর সেতুর কাছে অবস্থান নিয়েছেন। রাতে তাঁরা ডাকাতিসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারে। এই খবর জানার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ চাঁনপুর এলাকায় অবস্থায় নেন। রাত দেড়টার দিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়তে শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ গুলিবিনিময় হয়। একপর্যায়ে মহরম গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। মহরম ডাকাত দলের সঙ্গে থাকা একজন। মহরম গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা পিছু হটে পালিয়ে যান। আহত পুলিশ সদস্যের মধ্যে থাকা দুই এসআই হলেন মো. মতিউজ্জামান ও জাহাঙ্গীর আলম। মহরমকে রাতেই ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মহরমের মৃত্যু হয়েছে বলে জরুরি বিভাগ থেকে জানানো হয়।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুখলেছুর রহমান বলেন, মহরম চিহ্নিত ডাকাত ও খুনি। একটি অপরাধী চক্রের মাধ্যমে মহরম ভৈরবসহ আশপাশের এলাকায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে আসছিলেন। মহরমের বুকে তিনটি গুলি লাগে।

ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে থানায় ছুটে যান মহরমের মা মর্জিনা বেগম। তিনি অভিযোগ করেন, ‘জানতে পারছি আমার পুতেরে (ছেলে) পুলিশ আগেই ধরছে। পরে গুলি কইরা মাইরা ফালাইছে।’ মহরম ডাকাতি করতেন কিনা—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আগে খারাপ আছিল। তবে এহন আর মন্দ কিছুর লগে নাই। ভালা হইয়া গেছিল।’