সরকারি কার্যালয়ে ঢুকে দরপত্র ও ব্যাংক ড্রাফট ছিনতাই

>

সদর উপজেলা সমবায় কার্যালয়ে গত সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা সমবায় কার্যালয়ে ঢুকে মোয়ামারী বিল ইজারার দরপত্র ও ব্যাংক ড্রাফট ছিনতাই করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় সোমবার রাত ১১টা ২৫ মিনিটে লালমনিরহাট সদর থানায় তিস্তা দাসপাড়ার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র দাস মামলা করেছেন। মামলায় লালমনিরহাট পৌর এলাকার কালীবাড়ির প্রয়াত বেলাল হোসেনের দুই ছেলে ইয়াসিন আলী, নুর মিয়াসহ অজ্ঞাত চার–পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আসামিরা সদর উপজেলা সমবায় কার্যালয়ে তিস্তা দাসপাড়ার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র দাসের কাছে মোয়ামারী বিলের ইজারার দরপত্রের কাগজ চান। এ সময় গোবিন্দ চন্দ্র আসামিদের দরপত্রের কাগজ দিতে অস্বীকার করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁরা (আসামিরা) গোবিন্দ চন্দ্র দাসকে ওই দরপত্রের কাগজপত্র দেওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে মামলার ১ নম্বর আসামি ইয়াসিন আলী সেখানে উপস্থিত লালমনিরহাট জেলা সমবায় কর্মকর্তা সামছুল হকের কাছ থেকে মোয়ামারী বিল ইজারার দরপত্র ও ব্যাংক ড্রাফট ছিনতাই করে নিয়ে যান।

লালমনিরহাট জেলা সমবায় কর্মকর্তা সামছুল হক অভিযোগ করেন, ‘তিস্তা দাসপাড়ার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির মোয়ামারী বিল ইজারা দরপত্রের কাগজ সত্যায়িত করার জন্য আমাকে দেওয়া হয়েছিল। আমি লালমনিরহাট সদর উপজেলা সমবায় অফিসের ভেতরে সেগুলো সত্যায়িত করার সময় হঠাৎ কয়েকজন যুবক এসে আমাকে কোনো কিছু বুঝতে না দিয়েই কাগজগুলো নিয়ে চলে যায়।’ তিনি আরও বলেন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দরপত্র দাখিলের শেষ দিন সোমবার প্রশিক্ষণ গ্রহণজনিত কারণে অফিসের বাইরে ছিলেন। বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। গোবিন্দ চন্দ্র দাস থানায় মামলা করায় তিনি এই ঘটনায় আলাদা করে সাধারণ ডায়েরি করেননি। তিনি ধারণা করছেন, অন্য কোনো পক্ষের হয়ে সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। আসামিরা গ্রেপ্তার হলে বিষয়টি সঠিকভাবে জানা যাবে।

গোবিন্দ চন্দ্র দাস বলেন, ‘বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনসহ সমবায় অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তাঁরা আমাকে থানায় অভিযোগ দিতে বলেন। আমি থানায় মামলা করেছি।’

বিল ইজারার দরপত্র ও ব্যাংক ড্রাফট ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে ইয়াসিন আলী বলেন, ঘটনার সঙ্গে তিনি ও তাঁর ভাই জড়িত নন।