যত দুর্ভোগ আধা কিলোমিটারে

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের আধা কিলোমিটার অংশে গর্ত। গত সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মহিষলুটি এলাকায়।  প্রথম আলো
ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের আধা কিলোমিটার অংশে গর্ত। গত সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মহিষলুটি এলাকায়। প্রথম আলো

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল মোড় থেকে পশ্চিমে সোজা চলে গেছে বনপাড়ামুখী মহাসড়ক। কিছুদিন আগে এ মহাসড়কে মেরামতকাজ করা হয়। কিন্তু তাড়াশ উপজেলার মহিষলুটি এলাকায় মাত্র আধা কিলোমিটার মহাসড়ক এখনো বেহাল হয়ে আছে। সেখানে বড় বড় গর্ত রয়েছে। বৃষ্টির পানি গর্তে জমে বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

গত সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের বিভাগীয় শহর রাজশাহী, জেলা শহর চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, পাবনা ও দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় যানবাহন চলাচল করছে এ মহাসড়ক দিয়ে। মহাসড়কের বেশির ভাগ মেরামত করা হলেও তাড়াশ উপজেলার মহিষলুটি এলাকার সামান্য অংশটুকু মেরামত করা হয়নি। গর্তে বৃষ্টির পানি জমে। সড়কে কাদা রয়েছে। এ কারণে সেখানে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।

এলাকার পাঁচ বাসিন্দা বলেন, প্রতিদিনই এখানে এসে যানবাহনকে বেকায়দায় পড়তে হয়। বড় বড় গর্তে পানি জমে থাকায় অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।

মাইক্রোবাসের চালক আবু তালহা বলেন, যত দুর্ভোগ এই আধা কিলোমিটার সড়কে। এ সড়কে চলাচলের সময় ধীরগতির পাশাপাশি যাত্রীদের ভোগান্তি ও যানবাহনের যন্ত্রাংশের ক্ষতি হয়।

একই ধরনের কথা বলেন আরও পাঁচ চালক। কয়েক দিন আগে এ মহাসড়ক দিয়ে মেহেরপুরের মুজিবনগরে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে রায়গঞ্জ উপজেলার দুজন শিক্ষক বলেন, পুরো সড়ক মোটামুটি ভালো। তবে আধা কিলোমিটার সড়ক পার হতে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি খেতে হয়েছে।

নওগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ওই অংশটুকুর জন্য প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।

সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের একটি সূত্রে জানা গেছে, হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিকাটা টোল প্লাজা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার মহাসড়কের মধ্যে প্রথম ১৬ কিলোমিটারের সংস্কারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৯ কিলোমিটার মহাসড়কের সংস্কারকাজের জন্য প্রকল্প জরিপ চলছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু করা হবে।